সিলেট ২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
অভাবের সংসার। আবদুর রহিমের বাবা পেশায় একজন কৃষক। ছোটবেলায় এবি স্কুলে পড়ার সময় সংসারের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। দীর্ঘদিন কৃষক বাবার সঙ্গে জমিতে ফলানো সবজি নিজেই মাথায় করে হাটে হাটে গিয়ে বিক্রি করতেন।
আজ ৩৬তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত আবদুর রহিম।আবদুর রহিম চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাঁধানগর ইউনিয়নের বসনইল গ্রামের দরিদ্র কৃষক শরিফুল ইসলামের ছেলে। অনেক কষ্ট করে শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করা রহিমের পরিবার ও এলাকায় এখন আনন্দের বন্যা বইছে।
রহিম জানান, বাবার ইচ্ছাশক্তি ছিল অদম্য। আমার প্রচেষ্টার কারণে আজ আমি প্রতীক লতাকে জয় করে অবশেষে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী পদে কর্মরত রয়েছি।
জানা যায়, রহিম তার গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ করে রহনপুর এবি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। সেখান থেকে ২০০৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ এবং রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ থেকে ২০১০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।পরবর্তী সময় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) থেকে ২০১৬ সালে সিভিলে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করে বুয়েটে এমএসসিতে ভর্তি হয় এবং পাশাপাশি বিসিএসের জন্য পড়াশোনা করতে থাকে।
২০১০ সালে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বাবার শেষ সম্বল জমিটুকুও বিক্রি করে দেয়। ২০১২ (রুয়েট) প্রথম বর্ষে পড়ার সময় মা মারা যান। ছোট ভাই ও বোনদের পড়াশোনার দায়িত্ব তার ওপর পড়ে।কোচিংয়ে ক্লাস ও টিউশন করিয়ে নিজের এবং তাদের খরচ চালাতেন। তার ছোট ভাই ঢাকায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ৪র্থ বর্ষে এবং ছোট বোন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ১ম বর্ষে পড়াশোনা করছেন।