সিলেট ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:০৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২০
জেলা প্রতিনিধিঃঃ
সুনামগঞ্জে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে আবারও প্লাবিত হয়েছে নি¤œাঞ্চল। প্রবল বেগে বাড়ি ঘরে ঢুকছে পানি। সেই সঙ্গে বইছে বাউরি হাওয়া। ঘরবাড়ি ঢেউয়ের আঘাতে আবারও বিধ্বস্থ হচ্ছে। সব মিলিয়ে হাওরের লোকজন ভীত বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়, আজ ১১ জুলাই সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদী বিপৎসীমার ৫১ সে: মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
খবর নিয়ে জানা গেছে শহরের নবীনগর, ষোলঘর, আরপিননগর, মাছ বাজার, পশ্চিমবাজার, বড়পাড়া, উকিলপাড়া, কালিপুর, পুর্ব সুলতানপুর, মল্লিকপুরের সুরমা নদীর তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এদিকে সদর, ছাতক, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লোকজন। এবং কয়েকটি উপজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। হাওরাঞ্চলের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১০দিন আগে জেলায় ভয়াবহ বন্যায় বড় ধরণের ধাক্কা সামলাতে হয়েছে।
নতুন করে ফের বন্যা আসায় যেন মরার উপর খারার গাঁ। এভাবে কয়েক দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে আশ্রয় নেবার জায়গা খোঁজে পাওয়া যাবে না। এছাড়া গ্রামীণ রাস্তাঘাট, হাটবাজার প্লাবিত হওয়ায় অসহনীয় দূর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন। জেলা প্রশাসন বন্যা দুর্গতদের আশ্রয় নেয়ার জন্য স্কুল কলেজ খুলে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তারা বন্যা মোকাবেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছেন।
বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। জেলা প্রশাসনের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষসুত্রে জানা যায়, ১১ উপজেলা ও ৪টি পৌরসভায় ৪২ হাজার ৫৭টি পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ৮১টি ইউনিয়নে ২৮০ মে:টন চাল ও ১৬ লাখ টাকা,শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো সবিবুর রহমান জানান, জেলায় আরও ৩ থেকে ৪ দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এতে বন্যার পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। সবাইকে সর্তক থাকার আহবান জানান তিনি।