সিলেট ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:২৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
সাদেয়েদের পর এবার সিলেটে সরকারি চিকিৎসকের ভুয়া পদবী ব্যবহার ও করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া সার্টিফিকেট প্রদানের অভিযোগে রবিবার সন্ধ্যায় এ. এইচ. এম শাহ আলম নামের এক চিকিৎসককে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং ৪ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে অর্থদন্ড ও কারাদন্ড প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডা. শাহ আলমের কাছ থেকে করোনার ভুয়া সার্টিফিকেট নেয়া ভূক্তভোগী প্রবাসী দম্পতির ভাতিজা আনোয়ার হোসেন জানান, ১০ জুলাই সন্ধ্যায় তিনি মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেসে গেলে তার চাচা-চাচীর কাউকেই পর্যবেক্ষণ না করেই নন-কোভিড সার্টিফিকেট দেন এ চিকিৎসক।
তিনি জানান, এই সার্টিফিকেটে কাজ না হওয়ায় ঢাকার একটি বেসরকারি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে নমুনা দিয়ে পরীক্ষা শেষে সনদ নিয়ে ১২ জুলাই এমিরেটস এয়ারলাইন্সে যুক্তরাষ্ট্রে যান এই দম্পতি।
শাহ আলমের বরাত দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায় বলেছেন, শাহ আলম তার কৃতকর্মের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি এও বলেছেন, ‘আমি ভুল করেছি। এমন ভুল আর হবে না। এমন নন-কোভিড সার্টিফিকেট দেয়া ঠিক হয়নি আমার। আমি ক্ষমা চাচ্ছি।
এ বিষয়ে মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসের সিলেটের মহাব্যবস্থাপক এম এ মতিন মাসুক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমাদের বিপনন কর্মকর্তারা ডা. এ এইচ এম শাহ আলমকে ওসমানী মেডিকেল কলেজে কাজ করতে দেখেছেন। তাই তার কাগজপত্র আর যাচাই করা হয়নি। আর ১৬ জুলাই করোনা সংক্রমণের কথা অবগত হলেই এই চিকিৎসককে চেম্বারে আসতে নিষেধ করে দিই আমরা।