সিলেট ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:১৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কিংবদন্তি সুরস্রষ্টা ও সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী। আজ সোমবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আলাউদ্দিন আলীর জামাতা কাজী ফায়সাল আহমেদ।
এর আগে, বিকেল সোয়া ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত এই সুর স্রষ্টার মরদেহ রাখা হয় চার দশকের কর্মস্থল বিএফডিসিতে। তাকে একনজর দেখতে ছুটে এসেছেন দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা। এ সময় ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিল্পীরা। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন গীতকবি সংঘ, বাংলাদেশ; মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইবি); বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি; বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।
কিংবদন্তি এই সংগীত পরিচালককে শেষ বিদায় জানাতে আরও উপস্থিত ছিলেন কনকচাঁপা, পার্থ বড়ুয়া, বাপ্পা মজুমদার, এসআই টুটুল, বাদশা বুলবুল, পারভেজ, মুহিন, কিশোর, নাজির মাহমুদ, আহমেদ রিজভী, চিত্রনায়ক ওমর সানী, অভিনেতা জাহিদ হাসান, সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদসহ অনেকে।
বিএফডিসির জানাজা শেষে আলাউদ্দিন আলীর আত্মীয় ও সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন বলেন, ‘আলাউদ্দিন আলী নিজে একটি ইনস্টিটিউট ছিলেন। এমন কোনো মিউজিশিয়ান নেই, যিনি আলাউদ্দীন আলীর স্কুল থেকে শিখেননি। শুধু বাংলাদেশ নয়, তাকে হারানো উপমহাদেশের জন্য অনেক বড় ক্ষতি।
এর আগে, গতকাল বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে রাজধানী মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন আলাউদ্দিন আলী। রাতে তার মরদেহ রাখা হয় বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে। সোমবার সকালে আলাউদ্দিন আলীর মরদেহ প্রথমে তার বনশ্রীর বাসায় নেওয়া হয়। সেখানে বিটিভির সহকর্মীবৃন্দ ও এলাকাবাসীর জন্য তাকে রাখা হয় সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ১২টা অবধি। এরপর নেওয়া হয় খিলগাঁওয়ে আলাউদ্দিন আলীর আদি বাড়িতে। সেখানে তাকে শেষবার দেখেন শিল্পীর প্রথম স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও অন্যান্য স্বজনরা। বাদ জোহর খিলগাঁও তালতলা মোড়ে নূর-এ-বাগ জামে মসজিদে জানাজা শেষে তাকে নিয়ে আসা হয়েছে এফডিসিতে।
এফডিসির জানাজার পরপরই মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করার জন্য আলাউদ্দিন আলীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, আলাউদ্দিন আলী ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সংগীত পরিচালক হিসেবে সাতবার এবং গীতিকার হিসেবে একবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরমধ্যে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার পুরস্কৃত হয়ে সংগীত পরিচালক হিসেবে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। সে রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেনি।