সিলেট ২৪শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৫৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২০
স্টাফ রির্পোটারঃঃ
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগর অংশে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মহিলা ও শিশুসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মহিলাসহ গুরুতর আহত হয়েছেন দূর্ঘটনা কবলিত সিএনজি চালিত অটোরিকশার আরও ২ যাত্রী। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গজিয়া এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগরের গজিয়া গ্রিনবার্ড কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের সামনে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী মামুন পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রা-ব ১৪-৯৮৪৮) ও শেরপুরগামী সিএনজি চালিত অটোরিকশা (মৌলভীবাজার-থ ১১-৩৬৯১) কে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে অটোরিকশাটি দূমড়ে মুছড়ে যায়। এত ঘটনাস্থলে চালক জুনেদ আহমদ (৩০) নিহত হন। তিনি উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন মিয়ার পুত্র।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস,থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছে মহিলা শিশুসহ ৭ জনকে গুরুত্বর আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরন করে। তবে আহতদের মধ্যে উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের ব্রাম্মনগ্রামের জাহাঙ্গির (২২) একই গ্রামের বড় বাড়ির ফজলু মিয়ার স্ত্রী হামিদা বেগম (৩৫), মেয়ে আরিফা বেগম (১২), তার শ্যালিকার মেয়ে কারিমা বেগম (৩) কে হাসপাতালে নেয়ার পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষনা করেন।
এ ঘটনায় ব্রাম্মন গ্রামের কমরু মিয়ার পরিবারের মহিলাসহ আরও তিনজন গুরুত্ব আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধিন থাকলেও রাত ১১ টার দিকে তাদের মধ্যে একই পরিবারের হাবিবা বেগম নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। দূর্ঘটনার পর মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পরে প্রায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের এ অংশে প্রায় দুই ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে হাইওয়ে পুলিশ ও ও থানা পুলিশের দীর্ঘ প্রচেষ্ঠায় মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানা গেছে।
তাজপুর ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল গিয়ে হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় এক জনের লাশ উদ্ধারসহ গুরুত্ব আহত ৭ জনকে হাসপাতালে প্রেরন করেছি।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ এরশাদুল হক ভূইয়া বলেন, ঘটনাস্থল থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুত্ব আহত ৭জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের মধ্যে আরও চারজনকে মৃত ঘোষনা করেছেন বলে জেনেছি। মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।