সিলেট ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:০০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২০
কলি বেগম/জগন্নাথপুরঃঃ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের নাদামপুর, মজিদপুর ও উত্তর নাদামপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে নলুয়ার হাওরে প্রবাহিত হয়েছে নাগারখাল ও সুপারখাল নামক একটি খাল। হেমন্ত মৌসুমে এ খালের পানি দিয়ে বোরো জমি আবাদ হয়। খাল পাড়ে থাকা বাড়িঘরের গরীব মানুষের পানির ব্যবস্থা খালের পানি।
তবে স্থানীয় একটি মহল সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নামমাত্র টাকা দিয়ে এ খালটি লীজ নিয়ে অন্যত্র লাখ লাখ টাকায় সাব লীজ প্রদান করেন। তারা খাল শুকিয়ে মাছ ধরার কারণে পানি সংকটে ভোগান্তির শিকার হন স্থানীয়রা। এ নিয়ে অতীতে গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখনো আদালতে মামলা চলছে।
এমতাবস্থায় এবার নতুন করে খালটি লীজ নিতে একটি মহল তৎপর হয়ে উঠেন। জানতে পেরে গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। খালটি লীজ দেয়া হলে বড় ধরণের সংঘর্ষের আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। তাই খালটি লীজ না দিয়ে উন্মুক্ত রাখার দাবিতে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
এছাড়া সরকারি আরো বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন-নিবেদন করা হয়েছে বলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিলু বক্স নিশ্চিত করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, খালের বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিরাজ মিয়া বলেন, এ খালটি লীজ দেয়া হলে বড় ধরণের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এলাকার শান্তি বজায় রাখতে ও গরীব মানুষের কথা বিবেচনা করে খালটি উন্মুক্ত রাখতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান। তিনি আরো বলেন, তা না হলে আমাকে লীজ দেয়া হোক। আমি সরকারের উপযুক্ত মূল্যে লীজ নিয়ে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিবো।