সিলেট ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:২৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০২০
অন্তরা চক্রবর্তীঃঃ
সিলেটের ওসমানীনগরের দয়ামীর ইউনিয়নের নিজ করুয়া গ্রামে একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহনকারী একজন উস্তার মিয়া যেন অসহায়দের সহায়ক। প্রবাসে বিলাসী জীবনের মোহ ত্যাগ করে এলাকার দুঃস্থদের চুলায় আগুন জ্বালানোর প্রচেষ্টায় কষ্টে থাকা মানুষের হাড়ির খবর জানতে সদা ব্যাস্থ তিনি। করোনাকালিন সময়ে প্রবাসে পরিবার নিয়ে নিজে গৃহবন্দি থেকেও সার্বক্ষনিক খোঁজ-খবর নিচ্ছেন এলাকার খেটে খাওয়া মানুষদের।
নিজস্ব অর্থায়নে লোকজন দিয়ে দ্ররিদ্রদের বাড়ি বাড়ি পৌছে দিচ্ছেন নগদ অর্থসহ খাদ্য সহায়তা। পাশাপাশি তার ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক অর্থায়নের মাধ্যমে বঙ্গবীর ওসমানীর স্থৃতিবিজরিত সিলেটের ওসমানীনগরে অবহেলিত দয়ামীর ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দিরসহ সর্বক্ষেত্রে সাধিত হচ্ছে উন্নয়ন। নিজ ইউনিয়নের পাশাপাশি উপজেলার অনান্য এলাকায়ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ সহ সর্ব ক্ষেত্রে প্রসারিত করছেন সার্বিক সহযোগিতা। গোপনীয়তা রক্ষা করে করছেন মধ্যবিত্তদের সহায়তা।
ফলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলহাজ্ব উস্তার মিয়ার নাম শুনলেই অসহায়রা পাচ্ছেন স্বস্তি। উন্নয়ন কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতাকে আরোও দৃঢ করতে দয়ামীর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদন্দিতা করার জন্য বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর সমাজ কল্যাণ সমিতির সাবেক ট্রেজার উস্তার মিয়াকে আহব্বান জানাচ্ছেন সর্বশ্রেনীর লোকজনসহ সচেতন মহল।
জানা যায়, বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের ট্রাস্টি ওসমানীনগরের নিজ কুরুয়া গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ্ব উস্তার মিয়া জীবনের তাগিদে প্রবাসে পারি জমালে প্রবাসের বিলাসি জীবন আকঁরে না ধরে নারীর টানে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন জনকল্যানমূলক কর্মকান্ডে। জনপ্রতিনিধি না হয়েও তিনি নিজস্ব অর্থায়নে এলাকায় করে যাচ্ছেন রাস্তা-ঘাট স্কুল মাদ্রাসাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন। অবহেলিত এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন যুক্তরাজ্যস্থ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক সংগঠনের সাথে। ফলে কখনও ব্যাক্তি উদ্যোগে আবার কখনও এসব প্রবাসী সংগঠনের মাধ্যমে তার হাত ধরেই অব্যাহত রয়েছে এলাকার এলাকার সার্বিক উন্নয়ন।
দয়ামীর সমাজ কল্যাণ সংস্থা ইউকে এবং দয়ামীর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট-ইউকের ট্রাস্টি উস্তার মিয়ার মাধ্যমেই স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকেই নিজ অর্থায়নে দয়ামীর ইউনিয়নের গৃহহীনদের গৃহ নির্মান, গ্রামিন রাস্তার উন্নয়ন,দরিদ্রদের খাদ্য ও বস্ত্র সহায়তাসহ উন্নয়ন কর্মকান্ড। তাঁর সহায়তায় এলাকার একাধিক অসহায় কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা তাদের আদরের কন্যাকে পাত্রস্থ করতে সজ্ঞম হয়েছেন।
ইতিমধ্যে নিজস্ব অর্থায়নে উন্নয়ন করে দিয়েছেন দয়ামীর ইউনিয়নে স্থাপিত কুরুয়া বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর, কুরুয়া দারুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় আর্থিক অনুদান, কুরুয়া ইসলামীয়া আলীম মাদ্রাসায় কক্ষ নির্মান, চুনারপাড়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদে সীমানা প্রাচীর, ফারকুল মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদে আর্থিক অনুদান, নিজ কুরুয়া মোহাম্মদীয়া জামে মসজিদে আর্থিক অনুদান, ঘোষগাও পুরাতন মসজিদে সীমানা প্রাচীরের আর্থিক সহায়তা ছাড়াও দয়ামীর ইউনিয়ন ও উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সমাজসেবী প্রতিষ্ঠানের।
এলাকার একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাক্তিগত অর্থায়নে নির্মান করে দিয়েছেন নতুন ভবন। করোনার পাদূভাব শুরুর পর থেকে আত্বীয় স্বজনদের মাধ্যমে হতদ্ররিদ্রদের অব্যাহত রেখেছেন সহায়তা। করোনাভাইরাসের কারনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সর্বক্ষেত্রে। তাই দূর্যোগময় মুহূত্বে স্থানীয় ইমাম ও মোয়াজিনদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকে ইমামদের হাতে হাতে তুলে দিয়েছেন উপহার সামগ্রী।
সংকটময় মূহূত্বে অসহায়দের অব্যাহত সহায়তাসহ উন্নয়নকর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার ফলসরুপ তিনি হয়ে উঠেছেন দয়ামীর ইউনিয়নের সর্ব শ্রেনীর বাসিন্দাদের আপনজন। সাধারণ মানুষদের আহব্বানে সারা দিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে দৃঢ করতে ২০২১ সালে অনুষ্টিত ইউনিয়ন নির্বাচনে ওসমানীনগরের ৭নং দয়ামীর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদন্দিতা করার প্রত্যয় ব্যাত করেছেন উস্তার মিয়া।
স্থানীয়রা জানান, যে কোন বিপদ বা দূর্যোগময় সময়ে অসহায়দের ছায়া হয়ে পাশে থাকেন তিনি। যে কোনো দূর্যোগে উনার উপকারের কথা ভূলার নয়। ব্যক্তিগত সময় বলতে উনার কাছে কিছু নেই নিলোভ পরিছন্নবাদি উস্তার মিয়া জীবনের প্রতিটি মূহূত্ব ব্যায় করে যাচ্ছেন মানব সেবায়। সমাজের সাধারণ মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেয়ায় আগামী নির্বাচনে দয়ামীর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে সর্বশ্রেনীর মানুষের সমর্তন ও সহযোগিতা পাচ্ছেন। তিনি। নির্বাচিত হলে দয়ামীর ইউনিয়নটি উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আরোও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদি তারা।
এলাকার সার্বিক উন্নয়নসহ অসহায়দের অব্যাহত সহায়তার প্রতিক্রিয়ায় আলহাজ¦ উস্তার মিয়া বলেন, এলাকার সামগ্রীক উন্নয়ন কর্মকান্ডসহ যে কোনো দুর্যোগ ও বিপদে-আপদে আমি আমার সাধ্যমতো এলাকার মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। করোনায় গৃহবন্দী হয়ে কর্মহীন হয়ে ঘরে থাকা হত-দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছি। আমি মৃর্ত্যুর আগ মহূত্ব পর্যন্ত অবহেলিত দয়ামীর ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়নসহ এলাকার অসহায়দের কল্যানে কাজ করে যাব।