সিলেট ২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৩৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০২০
প্রতিনিধি/ছাতকঃঃ
ছাতকের জাহিদপুর মাদ্রাসা সুপারের ছবি ব্যবহার করে নামজারীর ভুয়া আবেদন নিয়ে হৈছৈ শুরু হয়েছে। মাদ্রাসা মালিকানাধীন না হওয়া সত্ত্বেও ৬০ শতক ভুমি মাদ্রাসা সুপারের নাম, ছবি ব্যবহার করে নামজারীর আবেদন করা হলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ, পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং অভিভাবকদের মধ্যে শুরু হয় আলোচনা- সমালোচনা।
সম্প্রতি জাহিদপুর মৌজার ৭২৯৭ দাগের ৩০ শতক এবং লায়েকপতিত আরো ৩০ শতক ভুমি মাদ্রাসা সুপারের ছবি সংযুক্ত করে নামজারীর জন্য আবেদন করা হয়। অন লাইন আবেদন (নং-১৭২০০১৩) মুলে ৯ জুলাই বিষয়টি তদন্তক্রমে যাচাই-বাচাই করে ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জাহিদপুর তহশীলদারকে বলা হয়। ২২ আগষ্ট জাহিদপুর তহশীলদার প্রদীপ দাস তদন্তের জন্য মাদ্রাসায় উপস্থিত নামজারীর বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বললে নামজারীরর ভুয়া আবেদনের বিষয়টি বেড়িয়ে আসে। নামজারীর আবেদনে মাদ্রাসা সুপারের পদ, ছবি এবং একটি মোবাইল ব্যবহার করা হয়। আবেদনে স্বাক্ষর ও মোবাইল নাম্বার মাদ্রাসা সুপারের নয় বলে জানা গেছে।
ভুয়া নামজারীর আবেদন নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। নামজারীর আবেদনের সাথে ভুমি উন্নয়ন কর পরিশোধের কাগজ এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক উত্তরাধীকারীর সনদ পত্রও দেয়া হয়েছে। এ উত্তরাধীকারীর সনদ পত্রটিতে চেয়ারম্যানের সাক্ষর জাল করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারান। স্থানীয়রা জানান, একটি চক্র এ কার্যক্রমের সাথে জড়িত। এ চক্রের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অভিযোগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। জাহিদপুর তহশীলদার প্রদীপ দাস জানান, ভুমি অফিসের এক আদেশে নামজারীর বিসয়টি তদন্ত করতে দিয়ে মাদ্রাসা এর সত্যতা পাওয়া যায়নি।
আবেদনকারী মাদ্রাসা সুপারকে নামজারীরর বিষয়টি জানতে চাইলে মাদ্রাসা সুপার এ ব্যাপারে কিছুই জানেনা বলে তাকে জানিয়েছেন। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য মাওলানা আলী আশকর জানান, উক্ত ভুমি মাদ্রাসার নয়। ফলে মাদ্রাসা সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কেউই এ ভুমির নামজারীরর জন্য আবেদন করা প্রশ্নই উঠে না। এ ব্যাপারে জানতে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা নূরুল হকের মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। উত্তরাধীকার সনদ সম্পর্কে ইউপি চেয়ারম্যান শায়েস্থা মিয়া জানান, এ সনদটি তিনি দেননি। এটি একটি জাল সনদ।