রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১২

প্রকাশিত: ৯:৪৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০২০

লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দুদিন ধরে থেমে থেমে সংঘর্ষে অন্তত ১২জন আহত হয়েছে। তবে আহতদের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। গতকাল শনিবার থেকে রোববার বিকেলে পর্যন্ত কুতুপালং ক্যাম্পের মুন্না গ্রুপ এবং ইসলাম মাহাদ গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

মো. আমির নামে এক রোহিঙ্গা জানান, গত পাঁচ দিন ধরে অপহরণ, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের ই-ব্লকের মোহাম্মদ ফরিদ ও এফ ব্লকের নুর হাশিম, মাস্টার মুন্না এবং আনরেজিস্টার্ড ক্যাম্পের আল-ইয়াকিন নেতা রফিক উদ্দিন, হাফেজ জাবেদ ও সাইফুলের মধ্যে কোন্দল শুরু হয়। এরপর থেকে ক্যাম্পের পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠে।

কুতুপালং আন-রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের মাঝি নুরুল বশর ঘটনার সত্যতার স্বীকার বলেন, ‘সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় ১০-১২ জন আহত হওয়ার খবর শুনেছি। ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পে মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে ঠিক ভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।’

এ প্রসঙ্গে কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্পে নিয়োজিত এপিবিএনের পরিদর্শক মো. সালেহ আহমদ পাটান বলেন, ‘ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের মাঝে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটে থাকে। গোলাগুলির বিষয়টি সঠিক নয়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের রয়েছে।

শনিবার প্রথমে ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও পরে রোববার বিকেল পর্যন্ত থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বর্তমানে উক্ত ক্যাম্পের পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন ১৪ এপিবিএনর অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মো. আতিকুল ইসলাম।

আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মুন্না গ্রুপের সাথে অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইসলাম মাহাদ গ্রুপের মধ্যে ইয়াবার আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। পরে গত শনিবার ফাঁকা গুলিবর্ষণের মাধ্যমে প্রকাশ্যে রূপ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় রোববারও থেমে থেমে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ২০টিরও বেশি রেহিঙ্গাদের ঝুঁপড়ি ঘর, বেশ কয়েকটি ওয়াটার সাপ্লাইয়ের ট্যাং ভাঙচুর করা হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে এপিবিএনের সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুই গ্রুপের সদস্যরা পালিয়ে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। সংঘর্ষে অংশ নেওয়া রোহিঙ্গাদের ধরার চেষ্টা চলছে।’

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

আর্কাইভ

May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031