সিলেট ১০ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২০
প্রতিনিধি/দোয়ারাবাজারঃঃ
সুনাগেঞ্জের দোয়ারাবাজারে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে অহেতুক মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। সম্প্রতি উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের টিলাগাঁও গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে শেষ পর্যন্ত মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত দোলা মিয়ার পুত্র আবদুল মালেক ও একই উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের টিলাগাঁও গ্রামের মৃত তুহুর আলীর পুত্র ফজলুল হকের মধ্যে পারিবারিক জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে একাধিক বিজচার সালিশও হয়েছে। সম্প্রতি দোয়ারাবাজার থানায় এ নিয়ে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে এক সাািলশ বিচার অনুষ্ঠিত হয়। এর পর অ্যাডভোকেট ফজলুল হকের পক্ষ স্থানীয় বিচার সালিশের সমাধান উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষের লোকজনকে ঘায়েল করতে আবদুল মালেক, তারা মিয়া, সোহাগ মিয়া, আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ জজ কোর্টে হয়রানী মূলক একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং সিআর ১১৭/২০২০) ওই পক্ষের লোক উকিল হওয়ায় অনেকটা প্রভাব প্রতিপত্তি দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় সম্প্রতি ওই ধরণের কোনো ঘটনা সংঘটিত হয়নি বলে গণস্বাক্ষর করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, তাদের মধ্যে পারিবারিক জমিসংক্রান্ত জমি নিয়ে বিরোধ আছে দীর্ঘদিন ধরেই। কিন্তু চাঁদা দাবি বা এ অফিসে প্রবেশ করে হামলা করার কোন ঘটনা ঘটেনি। প্রতিপক্ষের লোকের অফিসে সিসিটিভি ক্যামেরা সংযোগ করা থাকা স্বত্তেও ক্যামেরার ফুটেজ বা প্রমাণ না দিয়ে অহেতুক প্রতিপক্ষকে হয়রানী করতেই মামলায় জড়ানো হয়েছে।
টিলাগাঁও গ্রামের ফরহাদ আলমের পুত্র নাজমুল আলম সুমন বলেছেন, এ ধরণের কোন ঘটনাই ঘটেনি। যা সমস্ত এলাকাবাসী ও মহব্বতপুরবাজারের ব্যবসায়ীরা জানেন। অথচ প্রতিপক্ষের লোকজন হয়রানী করতে আমাদের লোকজনকে জড়িয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
জানতে চাইলে অন্য পক্ষের লোকজনের মধ্যে মো. আবদুল হক বলেছেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরকে কেন্দ্র করেই আমার অফিসে হামলা ও চাঁদা দাবি করে। যা স্থানীয় লোকজন সবাই জানেন।