আবুল ফয়েজ খান কামাল /ফেঞ্চুগঞ্জঃঃ
দক্ষিণ ফেঞ্চুগঞ্জ মাইজগাঁও আল-মাহাব্বা ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হওয়া দুই শিশু শিক্ষার্থী আজ (মঙ্গলবার ৮সেপ্টেম্বর) সকালে মাদ্রাসায় ফিরে এসেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, অত্র মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মো: জাবেদ আহমদ। জাবেদ আহমদ বলেন ঐ দুই শিশু শিক্ষার্থী মাইজগাঁও রেল স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে প্রথমে কুলাউড়া পরে চট্টগ্রাম চলে যায়, আবার চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে উঠে লাকসাম নামে,লাকসাম থেকে আবার ট্রেনে উঠে মাইজগাঁও রেল স্টেশনে নেমে মাদ্রাসায় আসে।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিশু শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ( ১৩) তার মা-বাবার হেফাজতে এবং সিপন মিয়া (১৪) মাদ্রাসার হেফাজতে আছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ গত ৫ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে দুই শিক্ষার্থী মাদ্রাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল। তিনদিন পর আজ (৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার) সকালে তারা স্বইচ্ছায় মাদ্রাসায় ফিরে আসে।শিশু শিক্ষার্থী সিপন মিয়া (১৪) কুলাউড়া উপজেলার আলীনগর গ্রামের মৃত আব্দুল মিয়ার ছেলে। এবং তানভীর আহমেদ (১৩) ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নিজ ছত্রিশ গ্রামের ইমমাদুল ইসলামের ছেলে। এদিকে অপর শিশু শিক্ষার্থী ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শরিফগঞ্জ গ্রামের মনছুর মিয়ার(৪৯) ছেলে উসমান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ছামিন(১১) এর এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।গতকাল বিকেলে ফেনি থেকে জিআরপি পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মাসুদ রানা পরিচয়ে এক ব্যক্তি ফেঞ্চুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল বাশার মোঃ বদরুজ্জামানকে ফোন দিয়ে জানান যে ছামিনকে পাওয়া গিয়েছে। ছামিন ফেনি সদর হাসপাতালের ২নং ওয়ার্ডের ১৭ নং বেডে চিকিৎসাধিন আছে।
চিকিৎসাধিন ছামিনের ঔষধ ও ইনজেকশন ক্রয়ের জন্য এই মূহুর্তে প্রায় এগারো হাজার পাঁচশত টাকার প্রয়োজন,যা তার কাছে নেই বলে তিনি ঔষধ ক্রয় করতে পারছেননা।তার কথা বার্তায় সন্দেহ হলে খোঁজ নিতে শুরু করেন ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি আবুল বাশার মোঃ বদরুজ্জামান। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন পুরো বিষয়টি ভূয়া।সাথেসাথে ছামিনের পরিবারকেও জানান তিনি।ফেঞ্চুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল বাশার মোঃ বদরুজ্জামানের বিচক্ষণতা ও আন্তরিকতায় প্রতারণার হাত থেকে বেঁচে যায় ছামিনের পরিবার।প্রতারক ও ভূয়া সাব ইন্সপেক্টর মাসুদ রানার মোবাইল নাম্বার ট্রেকিং করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।