সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৩০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার পেছনের কারণ উদঘাটনের সঙ্গে হামলায় মদদদাতাদেরও খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সকালে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনূর রশিদের সম্পূরক প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতিমধ্যে ইউএনওর যেই ঘটনা ঘটে গেছে সেটা তদন্ত করে দোষীদের কিন্তু গ্রেপ্তার করাও হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং বিষয়টা কি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিছু কিছু বলছে যে চুরি করার জন্য…শুধু চুরি না, এর সঙ্গে আরও কি কি ঘটনা থাকতে পারে সেগুলোও কিন্তু যথাযথভাবে দেখা হচ্ছে।’
হামলার পর ওয়াহিদা খানমকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসা, তার চিকিৎসা থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থা সরকার করেছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি অপরাধী আমার চোখে অপরাধী। সে কোন দলের কে, কি আমি কিন্তু সেটা বিচার করি না। সেটা আপনারা দেখেছেন।’
‘প্রথম কথা আমি অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে দেখি। সেখানে যদি আমার দলেরও লোক হয়, সমর্থক হয় তাকেও আমি ছাড়ি না, ছাড়ব না- এটা হল আমার নীতি। সেই নীতি নিয়ে আমি চলছি। ইতিমধ্যে যারা ধরা পড়েছে… তদন্ত করা হচ্ছে। পাশপাশি আরও তদন্ত করা হচ্ছে যে এই ঘটনার মূলে কি আছে? কেন এই ধরনের একটা ঘটনা ঘটল?’ যোগ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
করোনাভাইরাস মোকাবিলাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাজের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যারা এত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে তাদেরকে এভাবে আঘাত করে এটা তো কখনো গ্রহণযোগ্য না। ইতিমধ্যে অপরাধী শনাক্ত করা বা তাদেরকে ধরা হয়েছে এবং এর পেছনে তাদের সঙ্গে আরও কারা কারা আছে, কাদের মদদে করেছে, সেটাও কিন্তু তদন্ত করা হচ্ছে। এটা খুব ভালোভাবেই তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে কোনো ঘাটতি নেই এবং ঘাটতি হবে না। অপরাধী ঠিকই শাস্তি পাবে। সেই ব্যবস্থা করব, অন্তত এইটুকু আমি বলতে পারি।’
গত বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা হয়। গুরুতর আহত ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরে তাকে ঢাকায় এনে জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মাথায় অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে তার ওয়াহিদার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সোমবার তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলার ঘটনায় ভাই শেখ ফরিদ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে যে মামলা করেছেন তাতে এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এদের মধ্যে আসামি আসাদুল ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের সদস্য ছিলেন। হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।