সিলেট ৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৩৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২০
স্টাফ রির্পোটার::
সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে যুবক রায়হান নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখানো পুলিশ কনস্টেবল হারুনুর রশিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৪টায় তাকে সিলেট মহানগর মহানগর-৩ এর হাকিম শারমিন খানম নিলার আদালতে হাজির করে তদন্তকারী কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সাময়িক বরখাস্তকৃত কনস্টেবল হারুন রশীদকে এসএমপি রিজার্ভ কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো করা হয় বলে জানিয়েছেন পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদুজ্জামান। এ পর্যন্ত রায়হান হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর বহিষ্কৃত কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার দেখায় পিবিআই। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে তোলা হলে আদালত টিটু চন্দ্র দাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। টিটু চন্দ্র দাস এখনো রিমান্ডে রয়েছেন। এদিকে এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত বন্দরবার পুলিশ ফাঁড়ির সদ্য বহিষ্কৃত ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া এখনো পলাতক রয়েছেন। এর আগে রোববার (১১ অক্টোবর) ভোরে পুলিশের নির্যাতনে রায়হান উদ্দিন (৩৩) নামে এক যুবক নিহত হওয়ার অভিযোগ তুলেন তার স্বজনরা। নিহত ওই যুবক সিলেটের আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। তবে নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশ ধরে নিয়ে নির্যাতন করে রায়হানকে হত্যা করেছে।
পরিবারের অভিযোগে ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠিত করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ হেফাজতে রায়হান উদ্দিনের মৃত্যু ও নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এরপর বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। অন্য তিনজন হলেন, কনস্টেবল হারুনুর রশীদ, কনস্টেবল তৌওহিদ মিয়া, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস। একই সাথে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহারকৃত পুলিশ সদস্যরা হল, এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী, কনস্টেবল সজিব হোসেন।
অপরদিকে পরবর্তিতে আকবরকে পালাতে সহায়তা করা ও তথ্য গায়েব করার অপরাধে ফাঁড়ির টু-আইসি হাসান উদ্দিনকে বহিস্কার করে সিলেটের পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। এদিকে ঘটনার পর ১৩ অক্টোবর থেকে লাপাত্তা হয়ে যান বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া। এরপর থেকে এখনও লাপাত্তা রয়েছেন ঘটনার মুল অভিযুক্ত এ পুলিশ কর্মকর্তা। এ ঘটনায় রোববার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নিহত রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজন আসামি করে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে পিবিআই।
চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) থেকে তদন্ত শুরু করে পিবিআই। সেদিন তদন্ত দল বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ি, কাষ্টঘর ও রায়হানের পরিবারের সাথে কথা বলে। আর ১৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে রায়হানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ফের ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে আবারও রায়হানের মৃতদেহ দাফন করা হয়।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | ||||
4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9 | 10 |
11 | 12 | 13 | 14 | 15 | 16 | 17 |
18 | 19 | 20 | 21 | 22 | 23 | 24 |
25 | 26 | 27 | 28 | 29 | 30 |