সিলেট ১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৫৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২০
শরিফা বেগম শিউলী/ রংপুরঃঃ
রংপুরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জরিত এএসআই রাহেনুল গ্রেফতার।বুধবার (২৮ অক্টোবর) রংপুরে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মহানগর ডিবি পুলিশের এএসআই রাহেনুল ইসলাম জড়িত থাকার কথা জানিয়েছে নির্যাতিতা।পরে রাত ১০.৩০ মিনিটের দিকে রংপুর পুলিশ লাইন থেকে রাহেনুল ইসলাম রাজুকে গ্রেফতার করেছে পি বি আই পুলিশ। বুধবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যার আগে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ২২ ধারায় দেওয়া ঘটনার বর্ণনায় একথা জানান ধর্ষণের শিকার নির্যাতিতা স্কুলছাত্রী।
জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, গণধর্ষণের ঘটনার আগের দিন ২৩ অক্টোবর প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে এএসআই রাহেনুল তার পূর্বপরিচিত এজাহারভুক্ত আসামি ভাড়াটিয়ার বাড়িতে নিয়ে মেয়েটির সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে ওই স্কুলছাত্রী রাহেনুলের সাথে ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলে তার মা বকাবকি করেন। একারণে মেয়েটি অভিমান করে ওইদিন রাতে রাহেনুলের পরিচিত ভাড়াটিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখানে অবস্থানকালে পরের দিন রাতে অচেনা দুই পুরুষ মেয়েটিকে ভাড়াটিয়ার সহায়তায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এদিকে, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়ায় ডিবি পুলিশের এএসআই রাহেনুল ইসলামকে বুধবার রাতেই তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই পুলিশ। গণধর্ষণের এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া আবুল কালাম আজাদ ও বাবুল হোসেনকে বুধবার সন্ধ্যায় আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে একই বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ধর্ষণের কথা জানিয়েছে আসামিরা। এরআগে মঙ্গলবার এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ভাড়াটিয়া বাড়ির দুই নারী মেঘলা ও শম্পাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, বুধবার সকালে ধর্ষণ মামলার দুই নম্বর আসামি ডিবি পুলিশের এএসআই রাহেনুলকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে পুলিশ প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে রংপুরের নাগরিক সমাজ। স্মারকলিপিতে, রংপুরে চাঞ্চল্যকর নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই রাহেনুলকে গ্রেফতার করে আইনের মুখোমুখি করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।