সিলেট ১৩ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:২৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
সুপ্রিম কোর্টের এমএলএসএস মো. আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী সায়েরা খাতুনের প্রসব ব্যথা উঠলে তাকে রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে ভর্তি জন্য নেওয়া হয়। পথে সিএনজিতেই জমজ সন্তান প্রসব করেন সায়েরা। পরে তাকে ইসলামিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বামী। নবজাতকদের অবস্থা দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিতে বলে। সেখান থেকে আজাদ তার সন্তানদের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু ততক্ষণে মারা যায় সদ্য ভুমিষ্ট দুটি শিশু। এরপর আজাদ তার মৃত সন্তানদের নিয়ে সরাসরি চলে যান হাইকোর্টে। এ ঘটনায় ওই তিন হাসপাতালকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার সকালে সন্তানদের মৃত্যুর পর থেকে হাইকোর্টে তাদের নিয়ে অপেক্ষা করেন সুপ্রিম কোর্টের এমএলএসএস মো. আবুল কালাম আজাদ। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও মুগদার ইসলামিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। রুলে চিকিৎসা অবহেলায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না আদালত তা জানতে চেয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, আজ সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের এমএলএসএস মো.আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী সায়েরা খাতুন অসুস্থবোধ করলে মুগদা হাসপাতাল নেওয়ার পথে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মধ্যে দুটি বাচ্চা প্রসব করেন। এ সময় আজাদ তার প্রসূতি স্ত্রীকে ইসলামিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় কর্তৃপক্ষ তাকে তার সন্তানদের শ্যামলীতে ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিতে বলে। পরে দুই নবজাতককে অ্যাম্বুলেন্সে করে শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আরও জানান, ঢাকা শিশু হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখান থেকে জানানো হয় তাদের আইসিইউ খালি নেই। নরমাল বেডে ভর্তি করতে হবে। এ জন্য দিনে প্রতি বাচ্চার জন্য ৫ হাজার করে টাকা লাগবে। এ সময় আবুল কালাম আজাদ হাইকোর্টের এক বিচারপতির সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করেন। বিচারপতি তার নবজাতকদের বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নিয়ে সেখানকার পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। আজাদ তার সন্তানদের বিএসএমএমইউতে নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরিচালকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তাকে জানান পরিচালক মিটিংয়ে আছেন। পরে জানান পরিচালক বাসায় চলে যান। এরপর পরিচালকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা একজন চিকিৎসককে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে নবজাতকদের দেখান। তখন চিকিৎসক বলেন, ‘জমজ নবজাতক আর বেঁচে নেই।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, বিএসএমএমইউ থেকে সুপ্রিম কোর্টের এমএলএসএস মো. আবুল কালাম আজাদ তার মৃত সন্তানদের অ্যাম্বুলেন্সে করে আদালত চত্বরে নিয়ে আসেন। এরপরই আদালত ওই তিন হাসপাতালকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখা দিতে নির্দেশ দেন।