সিলেট ৩রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৫৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
করোনাভাইরাস মহামারিতে অনলাইন শিক্ষার জন্য স্মার্টফোন কিনতে দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১ হাজার ৫০১ জন অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
প্রতি শিক্ষার্থীকে বিনা সুদে আট হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঋণ পাওয়া শিক্ষার্থীরা এ টাকা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর অথবা অধ্যয়নকালীন চারটি কিস্তিতে কিংবা এককালীন আসল টাকা পরিশোধ করতে পারবেন।
আজ বুধবার এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় ইউজিসি। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হওয়া এ সভায় ইউজিসির অন্যান্য সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত এ ছুটি থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিশ্ববিদ্যালয় খোলার অনিশ্চিত এই পরিস্থিতিতে গত ২৫ জুন ইউজিসির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এক সভায় অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনে ক্লাস নেওয়া শুরু করলে দেখা যায়, বিভাগভেদে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন না।
যারা অনলাইন ক্লাস নিচ্ছেন না, তাদের বড় অংশই ডিভাইস ও ইন্টারনেট খরচের সমস্যার কারণে অংশ নিচ্ছেন না বলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। এর ফলে ঠিকমতো ক্লাস ও পরীক্ষা নিতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালগুলো, বাড়ছে সেশন জট। এ সমস্যার সমাধানে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কেনার জন্য ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ নিলো ইউজিসি।
ইউজিসি ২৫ আগস্টের মধ্যে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা দিতে বলেছিল ইউজিসি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মোট ৪১ হাজার ৫০১ জন শিক্ষার্থীর তালিকা ইউজিসিতে জমা দেয়। প্রথমে যে তালিকা দেওয়া হয়েছিল, তাতে গড়ে প্রায় ২৯ শতাংশ শিক্ষার্থীর এই সুবিধা ছিল না বলে তালিকা দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। পরে অতি প্রয়োজন বিবেচনায় এই হার ১৫ শতাংশের মধ্যে করে তালিকাটি সংশোধন করে দিতে বলে ইউজিসি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সংশোধিত তালিকা পাঠায়।
ইউজিসি জানিয়েছে, ওই তালিকা অনুযায়ী আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মোট ৮ হাজার ৫৫৬ জন অসচ্ছল শিক্ষার্থী রয়েছেন বলে ইউজিসিকে জানানো হয়। মোট শিক্ষার্থীর তুলনায় এই হার ১৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী প্রায় ৪৩ হাজার। আর আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থী সবচেয়ে কম খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অসচ্ছল শিক্ষার্থীর হার ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
দেশে ৪৬টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ইউজিসি জানিয়েছে, এগুলোর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকি ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঋণ দেওয়া হচ্ছে। দেশের এ ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ৩ লাখ ৩ হাজার ৯৮৬ জন।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | ||||
4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9 | 10 |
11 | 12 | 13 | 14 | 15 | 16 | 17 |
18 | 19 | 20 | 21 | 22 | 23 | 24 |
25 | 26 | 27 | 28 | 29 | 30 |