সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:০৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
বাংলাদেশ যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মীরসরাই উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে বুধবার বিকাল ৩টা থেকে মীরসরাই পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশের এক পর্যায়ে পরস্পর চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও লাঠিসোটা নিয়ে মারামারি সৃষ্টি হয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।একপর্যায়ে সমাবেশকে মুলতবি ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাহবুবুর রহমান রুহেল। তিনি আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে সমাবেশ স্থল ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ নভেম্বর মীরসরাইয়ে উপজেলা যুবলীগের সম্মেলনের ঘোষণা রয়েছে। ওই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে ১২ জন সভাপতি ও সেক্রেটারি প্রার্থী মাঠে ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রচার চালাচ্ছেন। সম্মেলনকে উৎসবমুখর করতে মহড়া হিসেবে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল এ যুব সমাবেশ।উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মোস্তফা মানিকের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন মান্নার সঞ্চালনায় বিকাল ৩টা থেকে সমাবেশ শুরু হয়। মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের জ্যেষ্ঠপুত্র মাহবুবুর রহমান রুহেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর ভূঞাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
বিকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্যও রাখছিলেন অতিথিরা। আসন্ন সম্মেলনে বিভিন্ন প্রার্থীদের পক্ষে একে একে মিছিল এসে প্রবেশ করছিল সমাবেশ মাঠে। অন্তত কয়েক হাজার নেতাকর্মী এসে জড়ো হন সমাবেশ স্থলে। সাধারণ অতিথি ও সুশীল নেতাকর্মীদেরও বসার সংকুলান হচ্ছিল না সমাবেশ স্থলে।এমন সময় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সভাপতি প্রার্থী মাঈনুর ইসলাম রানা ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ইব্রাহিম খলিল ভূঞার সমর্থকরা বারবার মিছিল দিতে থাকলে সিনিয়র নেতারা এতে বিরত থাকার অনুরোধ জানান। একপর্যায়ে রানা ও রানার সমর্থকদের দিকে কোথা থেকে ঢিল এসে পড়ে। আর তখনই পরস্পর ঢিল মারা থেকে শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। এরপর শুরু হয় লাঠিসোটা নিয়ে মারামারি।
এ সময় যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী মাঈনুর ইসলাম রানা (৩৫), সমর্থক শাকিল (৩০), সভাপতি প্রার্থী তৌহিদুল ইসলামের সমর্থক যুবলীগ কর্মী বাবলু (৩২), মিজান (৩০), কামরুল (২৮), সতত বড়ুয়া (৩২), পাভেল (২৯), নুর খান (৩২), বাবু (৩৩), সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আশরাফুল কামাল মিঠুর পক্ষের যুবলীগ কর্মী রিপন, সজিব (৩০), আপেল (২৮), জিসান (৪০), নোমানসহ (৩২) অন্তত ২০ যুবলীগ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের কয়েকজনকে সেবা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের একপর্যায়ে অনেক যুবলীগ নেতাকর্মীকে রক্তাক্ত দেখতে পেয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মন্ত্রীপুত্র মাহবুবুর রহমান রুহেল বলেন, এটি কোনো না কোনো ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। এ সমাবেশ পণ্ড করার জন্যই কেউ এভাবে এমন বিশৃঙ্খলা ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করেই পদক্ষেপ নেয়া হবে।তিনি বলেন, এ সমাবেশের চারদিকেই সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তাই ঘটনার রহস্যও বের হয়ে যাবে।যুবলীগের আহ্বায়ক মোস্তফা মানিক বলেন, এমন ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা শিগগিরই এ বিষয়ে কঠোর সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করব।