লালখানবাজার সিটি নির্বাচনে সংঘর্ষে আহত ২১

প্রকাশিত: ১২:২৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২১

লালখানবাজার সিটি নির্বাচনে সংঘর্ষে আহত ২১

লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নগরীর লালখানবাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তিন পক্ষের অন্তত ২১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।বুধবার সকাল থেকে সেখানে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

 

 

বিএনপি-সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর অভিযোগ, লালখানবাজার ওয়ার্ডের ১৪টি কেন্দ্রের মধ্যে সব দখল করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন।আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর দাবি, তার অনুসারীদের ওপর হামলা হয়েছে বিএনপি প্রার্থীর নেতৃত্বে।১৪ নম্বর লালখানবাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত বেলাল। আর বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর এফ কবির মানিক। এই ওয়ার্ডে বিএনপির সমর্থন পেয়েছেন আবদুল হালিম শাহ আলম।

 

 

তবে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যা মামলার আসামি দিদারুল আলম মাসুম দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা গেছে।আবুল হাসনাত বেলাল গণমাধ্যমকে বলেন, আমার অনুসারীদের ওপর বিএনপি প্রার্থীর নেতৃত্বে পুলিশ লাইন কেন্দ্রে হামলা হয়েছে। সেখানে আমার চার কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তারা।

 

 

তিনি বলেন, মাস কিন্ডারগার্টেন কেন্দ্রেও হামলা হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা শহীদ নগর সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কেন্দ্রে আমার লোকদের মেরেছে। সেখানেও দুজন আহত হয়েছে। মারামারির কারণে সাধারণ ভোটাররা আর কেন্দ্রে আসছে না।আওয়ামী লীগ মনোনীত এ প্রার্থী আরও বলেন, মাসুম যদি দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধেই কাজ করবেন, তা হলে তিনি আওয়ামী লীগ করেন কীভাবে।

 

 

জানা গেছে, সকাল ৯টার দিকে শহীদ নগর সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কেন্দ্রের বাইরে বেলালের সমর্থকদের সঙ্গে মাসুমের সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।শহীদ নগর সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার বশির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রের বাইরে গোলযোগ হয়েছে। তবে কেন্দ্রের অভ্যন্তরে কোনো সমস্যা নেই।

 

 

অন্যদিকে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী আবদুল হালিম শাহ আলম বলেন, কোনো কেন্দ্রেই মেয়র ও আমার এজেন্ট ঢুকাতে পারেনি। তারা আমাকেও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। আমাদের ১৫ জন আহত হয়েছেন।তিনি অভিযোগ করেন, গতরাতে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাণ্ডব চালিয়ে মতিঝর্ণা, পোড়া কলোনি ও লালখানবাজার এলাকায়। প্রত্যেক সেন্টার তারা দখল করে নিয়েছে। ১৪টি কেন্দ্রের একটিতেও আমাদের এজেন্ট নেই। আমি নিজে জামেয়াতুল উলুম মাদ্রাসা সেন্টারে ভোটার, এখনও ভোট দিতে পারিনি।

 

 

শাহ আলম জানান, যে কয়জন ভোটার আইডিকার্ড নিয়ে ভেতরে যাচ্ছে, সেটি নিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন ভোট দিয়ে দিচ্ছে। আগের ভোটের চেয়েও নির্লজ্জ অবস্থা এবার।স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে বলেও কোনো প্রতিকার পাননি বলে দাবি তার।সকাল ১০টার দিকেও লালখানবাজার এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

 

 

খুলশী থানার ওসি শাহিনুজ্জামান বলেন, কেন্দ্রের বাইরে দুপক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছিল। পুলিশ-বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

আর্কাইভ

April 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930