এমসি কলেজের ধর্ষণ মামলা চলবে , হাইকোর্টে যাচ্ছেন বাদী

প্রকাশিত: ১:২১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২১

এমসি কলেজের ধর্ষণ মামলা চলবে , হাইকোর্টে যাচ্ছেন বাদী

লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা একই আদালতে চলবে না। তবে ধর্ষণ মামলাটি আদালতে চলমান থাকবে। বিবাদী পক্ষের আইনজীবীর দাখিলকৃত পিটিশনের শুনানী শেষে  সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী এ আদেশ দেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী দুটি মামলার বিচারকার্য একই আদালতে চলার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করবেন বলে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারককে অবগত করেন।

 

এসময় আদালত তাদেরকে বলেন, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত আসার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে মামলাটি আদালতে চলমান থাকবে।  বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আদালতে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার ৮ আসামীকে হাজির করে পুলিশ।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, একই আদালতে দুটি অভিযোগপত্রের বিচার চলেতে পারে।  আমরা এজন্য পিটিশন দাখিল করেছি। কিন্তু শুনানী শেষে আদালত তা না মঞ্জুর করে ধর্ষণ মামলার বিচার আদালতে চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন। এজন্য আমরা হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করে দুটি অভিযোগপত্রের বিচার একই আদালতে চলার জন্য আবেদন করব।

 

আসামী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বাদী পক্ষ চাচ্ছেন দুটি মামলার বিচার একই আদালতে চলতে। কিন্তু এটা আদালত মানেন নি। অনুমতি নেয়ার জন্য বাদী পক্ষ হাইকোর্টে যাবেন। তবে ধর্ষণ মামলার বিচার কাজ আদালতে চলবে। যার জন্য বুধবার আদালতে কোন সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি।

 

জানা যায়, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক তরুণীকে (২০) দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামী বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং দুজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পর আসামিরা ছাত্রাবাস থেকে পালিয়ে গেলেও তিন দিনের মধ্যে ছয় আসামি ও সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ও র‍্যাব। গ্রেফতারের পর আটজন আসামিকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

 

 

পরবর্তী সময়ে সবাই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করেন। আসামিদের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষায় আটজন আসামির মধ্যে ছয়জনের ডিএনএর মিল পাওয়া যায়। গত বছরের ৩ ডিসেম্বর মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

 

অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজনকে দল বেঁধে ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত করা হয়। আসামি রবিউল ও মাহফুজুরকে ধর্ষণে সহায়তা করতে অভিযুক্ত করা হয়। আট আসামিই বর্তমানে কারাগারে আছেন। তাঁরা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিতি। মামলার অভিযোগপত্রে ঘটনার পর আসামিদের পালিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন পর্যায় প্রত্যক্ষ করা দুজনসহ ৫১ জনকে সাক্ষী রাখা হয়।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

আর্কাইভ

April 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930