সিলেট ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:২৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২১
প্রতিনিধি/ওসমানীনগর
সিলেটের ওসমানীনগরে ১০ বছরের শিশু ফাইজা বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সিলেট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাবর বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে ফাইজার মা লায়লা বেগম ও এলাকাবাসীর স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক স্বারকলিপিতে ২৫ জানুয়ারী খাসদরগাহ্ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ফাইজা বেগমকে ধর্ষণের পর পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
লিখিত স্বাকলিপি সূত্রে জানা গেছে, ফাইজাকে ধর্ষনের পর হত্যা করে পরিকল্পিত ভাবে লাশ ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়।নিহতের স্বজনদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে ময়না তদন্তের রির্পোটের দোহাই দিয়ে তড়িগড়ি করে অপমৃত্যুর মামলা রুজু করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটককৃতদের থানা পুলিশ কর্তৃক ছেড়ে দেয়াসহ ময়না তদন্ত শেষে লাশের গোসল করানোর সময় একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও মুখমন্ডলসহ শরীরের একাধিক অংশে কামর ও নকের আচর রয়েছে বলে লাশের গোসল করানোর কাজে নিয়োজিত থাকা স্থানীয় মহিলা জনপ্রতিনিধি, উপজেলা সহকারী আনসার কমান্ডারসহ একাধিক মহিলারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলেও স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
কোমলমতি শিশুটির মৃত্যুর বিষয়ে সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের উধ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত,গত ২৫ জানুয়ারী উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রামস্থ নিজ বাড়িতে মেয়েকে একা ঘরে রেখে বাজারে যান মা লায়লা বেগম। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে বসত ঘরের বাঁশের তীরের সাথে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করলেও কয়েকজন ছুটে এসে ফাইজাকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বুধবার ২৭ জানুয়ারী ফাইজার নানার বাড়ি তাজপুর ইউনিয়নের রঙ্গিয়া গ্রামে লাশের গোসল ও প্রথম জানাযার নামাজের পর ওই দিন রাত সাড়ে ৭টায় উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।