সিলেট ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:০৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)। আজ (২৫ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের ডেসপাস শাখায় এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। আদালতে ৬০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি জমা দেন পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের ডেসপাস শাখার ইনচার্জ উপপরিদর্শক আবুল হাসান ভূঁইয়া।
গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সালমান শাহ হত্যা মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পিবিআই।এদিন সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করে পিবিআই। এ সময় সেখানে একটি স্লাইড শো দেখানো হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহের আত্মহত্যার পেছনে পাঁচটি কারণ তুলে ধরে পিআইবি। সালমান শাহের আত্মহত্যার পাঁচটি কারণ হলো- চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে সালমানের অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা, স্ত্রী সামিরার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ, মাত্রাধিক আবেগ প্রবণতার কারণে একাধিকবার আত্মঘাতী হওয়ার বা আত্মহত্যার চেষ্টা, মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা জটিল সম্পর্কের বেড়াজালে পড়ে পুঞ্জীভূত অভিমানে রূপ নেওয়া এবং সন্তান না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে অপূর্ণতা।
সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘পিবিআই কর্তৃক তদন্তকালে ঘটনার সময় উপস্থিত ও ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ৪৪ সাক্ষীর জবানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি ঘটনা সংশ্লিষ্ট আলামত জব্দ করা হয়।
এসব বিষয় পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, চিত্রনায়ক সালমান শাহ পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন। হত্যার অভিযোগের কোনো প্রমাণ মেলেনি।
পারিবারিক কলহের জেরে সালমান শাহ আগেও একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলেও জানান পিবিআইয়ের প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহকে ঢাকার নিউ ইস্কাটন রোডের নিজ বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যু মামলা করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।