সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৪৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
ক্রেডিট কার্ড বাদে অন্য সব খাতে ঋণে এক অঙ্কের (সিঙ্গেল ডিজিট) সুদ কার্যকর হবে আগামী এপ্রিল মাস শুরুর দিন থেকে। আর সুদের ওপর বা অতিরিক্ত মুনাফা হিসাবে সর্বোচ্চ দুই শতাংশ হারে সুদ নেওয়া যাবে। এছাড়া প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের বিদ্যমান সর্বোচ্চ সুদ বা মুনাফা ৭ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকবে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার দেশের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহত্ শিল্পসহ ব্যবসা ও সেবা খাতের বিকাশে প্রধান অন্তরায় হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক ঋণে সুদ বেশি হলে সংশ্লিষ্ট শিল্প, ব্যবসা ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানসমূহের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায় এবং উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে শিল্প, ব্যবসা ও সেবা প্রতিষ্ঠানসমূহ কখনো কখনো প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতারা যথাসময়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে পারেন না।
তাতে ব্যাংকিং খাতে ঋণ শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় এবং সার্বিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। এমন প্রেক্ষাপটে শিল্প, ব্যবসা ও সেবা প্রতিষ্ঠানসমূহের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে অধিক সক্ষমতা অর্জনসহ শিল্প ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, ঋণ পরিশোধে সক্ষমতা এবং কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্যই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সুদ কমানোর ফলে এসএমই খাতে ঋণ বিতরণ যেন না কমে যায় সেই নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। ব্যাংকগুলো এসএমই খাতের ঋণের ক্ষেত্রে সিঙ্গেল ডিজিট নিয়মের বাইরে রাখার দাবি জানায়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চলতি বছর হতে ব্যাংকের মোট ঋণ স্থিতির মধ্যে এসএমইর ম্যানুফ্যাকচারিং খাতসহ শিল্প খাতে প্রদত্ত সকল ঋণ স্থিতি অব্যবহিত পূর্ববর্তী তিন বছরের গড় হারের চেয়ে কোনোভাবেই কম হতে পারবে না। অর্থাৎ গত তিন বছরে যে পরিমাণ ঋণ দেওয়া হয়েছে তার এক বছরের গড় ঋণের চেয়ে কম ঋণ বিতরণ করা যাবে না।