সিলেট ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৪৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
পিরোজপুর ১ (সদর, নেছারাবাদ ও নাজিরপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল ক্ষমতা দাপট দেখিয়ে জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নানকে স্ট্যান্ড রিলিজ করানোর পাশাপাশি স্থানীয় ছাত্রলীগের এক নেতার অফিসে ভাংচুর চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সাবেক এমপি এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী লায়লা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর ঠিক ৪ ঘন্টার মধ্যেই জামিন পেয়েছেন পিরোজপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বিকেল ৪টায় সাবেক এমপি আউয়ালকে জামিন দেন জেলা দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) নাহিদ নাছরিন। এর আগে একই দিন দুপুর ১২টার দিকে তিনি জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নানের আদালতে হাজির হলে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, এ আদেশের পর জেলা দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান তার দায়িত্ব অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ নাহিদ নাছরিনকে বুঝিয়ে দেন। পরে ভারপ্রাপ্ত দায়রা জজ নাহিদ নাছরিন তার ক্ষমতা বলে তিনি এ জামিন দেন।
এর আগে সকাল থেকেই সাবেক এমপি আউয়ালের ক্যাডার বাহিনী আদালত চত্বরের আশেপাশে ব্যাপক মহড়া দিতে থাকে। বিকাল ৪ টায় তাদের জামিন মঞ্জুর করার পর এ কে এম আউয়ালের অনুসারীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ সজলের অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এসময় সাবেক এমপি আউয়ালের ক্যাডার বাহিনী সজলের অফিসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও ভাংচুর করে মাটিতে ফেলে দেয়।
উল্লেখ্য, দুদকের আইনজীবী মনসুর উদ্দিন হাওয়লাদার বলেন, আউয়ালের বিরুদ্ধে জেলার নাজিরপুর থানার সামনে ও উপজেলা সদরের ভূমি অফিসের পেছনের সরকারি জমি দখল করার অভিযোগ রয়েছে।
এই অভিযোগে গত ৩০ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক পরিচালক মো. আলী আকবর আউয়ালের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন। এর একটিতে তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকেও আসামি করা হয়। এসব মামলায় তারা গত ৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন পান।
আইনজীবী মনসুর বলেন, মঙ্গলবার তারা পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে আবার জামিন আবেদন করেন। বিচারক আব্দুল মান্নান আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের এ আদেশের পর আউয়াল সমর্থকরা শহরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এর আগে সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পুলিশ ও র্যাব।
আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পরপর দুইবার পিরোজপুর-১ (সদর-নাজিরপুর-নেছারাবাদ) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন।