সিলেট ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:২১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যা মামলার তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতের উপস্থাপনের আগেই গণমাধ্যমে কিভাবে প্রকাশ পেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ প্রশ্ন তোলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাগর-রুনি হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টের উপস্থাপনের পর বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, এ রিপোর্ট মিডিয়ায় কিভাবে গেল? হয় অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় বা তদন্ত সংস্থার কাছ থেকে এ রিপোর্ট ছুটেছে। কোর্টে উপস্থাপনের আগেই এভাবে মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশ পেলে জনমনে এক ধরণের পারসেপশন তৈরি হয়।
এ পর্যায়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার বলেন, আমি সাংবাদিক ছিলাম, আমি কাউকে কোনো রিপোর্ট দেইনি। যার কারণে আমার সাংবাদিক বন্ধুরা আমাকে দেখতে পারেন না।
তখন বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম বলেন, সাংবাদিকদের কাজই হল খবরের পেছনে ছোটা। তারা খবর সংগ্রহ করতে ছুটবেই। আমরা তো সাংবাদিকদের কোন দোষ খুঁজে পাচ্ছি না।
অমিত তালুকদার বলেন, এভাবে রিপোর্ট প্রকাশ আদালত অবমাননার শামিল।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বলেন, সাংবাদিকরা রিপোর্ট পেলেই ছাপাবে এটাই স্বাভাবিক। যদি আপনি ওই রিপোর্টের সঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদনের মিল না থাকে তখন তাদের দোষারোপ বা ধরার সুযোগ থাকে।
তিনি আরো বলেন, রিপোর্ট আদালতে দাখিলের আগেই যে সাংবাদিকদের হাতে গেছে দোষ তো কাউকে না কাউকে স্বীকার করতেই হবে।
উল্লেখ্য,গত সোমবার সাগর-রুনি হত্যা মামলায় র্যাবের সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের আগেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।
এদিকে আদালতের এখতিয়ার থাকার পরেও শুনানির এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলায় হাইকোর্ট মামলার আসামি তানভীর রহমানের আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। ফলে আদালতে এ মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদনের উপর শুনানি হয়নি।