জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সাংসদ শফিকুল ইসলাম দুপুরে সরকারি গাড়িতে করে তাঁর নিজ এলাকার পিটিআই স্কুলে গিয়ে ভোট দেন। পরে মল্লিকহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র হয়ে পুরাতন বালক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে যান। সেখান থেকে তিনি মোটরসাইকেলে করে সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ওই এলাকার কাউন্সিলর প্রার্থী আরিফুল ইসলাম। এসব কেন্দ্রে ঘোরার সময় সাংসদ শফিকুল ইসলাম ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তাঁর মোটরসাইকেলের আগে-পিছে আরও তিনটি মোটরসাইকেল ছিল। নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ।মোটরসাইকেল চালানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের কোনো অনুমতিও ছিল না। এমনকি মোটরসাইকেলে চলাচলের সময় তাঁর বা তাঁর সফরসঙ্গীদের কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। তবে এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ তাঁকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও মোটরযান আইনের বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে তাঁর কাছে কৈফিয়ত চাননি।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ‘ঘটনাটি নজরে এলে আমরা তাৎক্ষণিক মাননীয় সাংসদকে ভোটকেন্দ্র ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছি। এর বেশি কিছু করা তো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে সাংসদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ভোট দিতে বের হয়েছিলাম। ফেরার পথে কিছু ভোটারের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছি। এতে তো আচরণবিধি লঙ্ঘন হওয়ার কথা নয়। পরে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনুরোধে আমি বাড়িতে চলে এসেছি।