সিলেট ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৫৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
প্রতিনিধি/নবীগঞ্জঃঃ
ঢাকা- সিলেট মহা সড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার ব্যস্থতম জনবহুল আউশকান্দিতে গত এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন দোকান, টমটম, অট্রোরিক্সা, ব্যাটারী, গরু সহ একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অন লাইন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়াও গত ২/১ দিন ধরে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ চোর ডাকাদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে গোপনে- সরাসরি, দিনে ও রাতে তদন্তে মাঠে কাজ করতে দেখা যায়।
এরই প্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলামের নিদের্শনায় নবীগঞ্জ থানার এসআই (নিঃ) মোঃ আবু সাঈদ একদল পুলিশ নিয়ে ঢাকা- সিলেট মহা সড়কের শেরপুরে পশ্চিম পাশে পারকুলের রাস্তায় এশিয়ার বৃতহত্তম পাওয়ার প্লান্টের রাস্তার সম্মূখের সামনে সু-কৌশলে যাত্রী সেজে অসহায় দিন মজুরের একটি মিশুক বাছিদ ও শহিদ গাড়িটি নিয়ে যায়।
এদিকে, ঢাকা- সিলেট মহা সড়কের পাশের রাস্তায় অসহায় দিন মজুর মিশুক গাড়ি চোরির ঘটনায় পুলিশ খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ধৃত আসামী আজির উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এ ঘটনার বিষয় সর্ম্পকে পুলিশ আজির উদ্দিনকে জিঞ্জাসাবাদ করলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তার জবানবন্ধিতে বলে- আসামী বাছিদ ও শাহিদ পাওয়ার প্লান্টের রাস্তার সামনের দাড়িয়ে যাত্রী সেজে একটি মিশুকে ওঠে সোহগের বাড়িতে গাড়িটি নিয়ে আসে। পরে সোহান গাড়িতে বসে আর বাছিদ ও শাহিদ ঐ গাড়ির ব্যাটারি খুলে আলাদা করে রাখে।
পববর্তিতে আব্দুর রহিম ওরপে কালা মিয়ার নিকট গাড়ির বডি ৫ হাজার টাকায় বিক্রয় করা হয়। এবং আজিদ মিয়া ৪টি ব্যাটারী আব্দুল বাছিদ এর নিকট ১২ হাজার টাকায় বিক্রয় করেন। এর মধ্যে আসামী আজিদ উদ্দিন ও শাহিদ এর স্বীকারাক্তিমূলক বাছিদের বসত ঘর হইতে ৪টি ব্যাটারী স্বাক্ষীদের মোকাবেলায় রবিবার ভোর ৬টার দিকে জব্ধকৃত মালামাল সহ বাছিদকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, আসামীরা একটি টমটম ও মিশুক চোর চক্রির সক্রিয় সদস্য।
এই চুর চক্র বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ও ব্যাটারী চুরি করে অধিক লাভের আশায় দীর্ঘদিন ধরে সু-কৌশলে চোরি করে ভাঙ্গারী বা ব্যাটারীর দোকানে বিক্রয় করে আসছে বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। আসামী আব্দুর রহিম দেশের বিভিন্ন স্থানে তার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে সে তার অবৈধ কাজ চালিয়ে আসছে। এ ঘটনায় অভিযোগ করার পর থেকে পুলিশের বিভিন্ন টিম স্থানে তদন্ত শুরু করে।
এরই প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জ- সহ আউশকান্দিতে গণগণ চোরির ঘটনার খবর পেয়ে ওসি তদন্তকে এসব ঘটানার খবর দিলে তিনির নিদের্শনার থানার কয়েক ডজন পুলিশ সরসরি ও গোপনে চোরি আসল ঘটনা উদঘাটনে মাঠে দেখা যায়। মিশুক চোরির ঘটনায় পরদির গতকাল রবিবার ৯৫/৩৯৭ ধারায় নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার ভোর ৬টার চোর বাছিদ এর কথা মতো নবীগঞ্জ থানার দূর্লভপুর গ্রামের জহুর উদ্দিনের পুত্র মোঃ আজির উদ্দিন (৩২), একই গ্রামের পিতা মৃত আক্রম উল্লার পুত্র মোঃ আব্দুল শহিদ (৩৫), মোঃ লেবু মিয়ার পুত্র সোহাগ মিয়া (২৫) মৌলভীবাজার সদর থানার বর্তমান বাসিন্ধে দূর্লভপুর গ্রামের আতানকিরি গ্রামের পিতা মৃত রহমত উল্লার পুত্র আব্দুল বাছিদ (৪৫) ও বরগুনা জেলার বরগুনা থানার লাতাবাড়ি- মোল্লাবাড়ী গ্রামের পিতা মৃত মজিদ উল্লার পুত্র আব্দুর রহিম কালা মিয়া (২৮) কে আটক করা হয়েছে।
নবীগঞ্জ- আউশাকন্দি- দূলর্ভপুর, দীর্ঘলবাক, সৈয়দপুর এলাকার পুরনো কিছু ছব্দবেশী প্রভাবশালীরা এই চোরচক্রের সাথে সর্ম্পক রয়েছে বলে এলাকার সচেতন মানুষের ধারনা করছেন। এ ব্যাপারে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলছেন- প্রশাসন যদি এলাকার কিছু চিহিৃত চোরদের গোপনে সঠিক তদন্ত করে সংগ্রহ করে তাহলেই অনেক বড় বড় রাগব বোয়াল ও চোর- ডাকাত ধারা সম্ভব।
যদি চিহিৃত দাগি এবং চোরের গডফাদারদের নবীগঞ্জ সহ আউশকান্দি এলাকায় অনেক চোরি- ডাকাতির সন্ধান পাওয়া যাবে বলে সাধারন মানুষ আসা বাদি। গত কয়েক দিন ধরে নবীগঞ্জ- আউশকান্দি- সৈয়দপুর- ইনাতগঞ্জ ও শেরপুরের কিছু অসাধু কথিত সিএনজি নেতা, চালক ও নামি দামি সুদখোররা চোরাই গাড়ি ক্রয় করে কালো টাকা বিনিময়ে গাড়ির জাল কাগজ করে বিক্রয় করে আঙ্গুল ফুলে গলা গাছে পরিনত হয়েছে। এসব খবর সিএনজির ধার্মীক সচেতন চালক ও মালিরা গোপনে এ প্রতিবেদনকে জানান। এই চোরাই গাড়িগুলো জাল- জালিতির মাধ্যমে বিক্রির অহরহ অভিযোগ আউশকান্দি পায়া যায়- যা গোপনে চালক বা মালিকদের জিঞ্জাস করছেই পাওয়া যাবে।
এই চোরচক্রের কাছ থেকে গাড়ি ক্রয় করলে কম ধরে কাগজবিহীন জাল- জালিয়াতির মাধ্যমে পাওয়া যায়। এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ধরা ছোয়ার বাহিরে থেকে দূরদূরান্ত থেকে ভাড়াটিয়া লোক এনে চোরির কাজ করায় বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তারা বিভিন্ন স্থানে বাসা বাড়ি ভাড়া করে নারী- পুুরুষ রাখার কবরও রয়েছে। এসব কাজ করে তারা অবৈধ পথে রাতারাতি লক্ষ লক্ষ টাকা, গাড়ি, বাড়ির মালিক ও নামে বেনামে ব্যবসা সহ কয়েকটি ব্যাংকে একাউন্ট অনেক অবৈধ টাকা পয়সা রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।
এদের বিরোদ্ধে কেউ কথা বলেনা- কারণ যে বা যাহারাই তাদের বিরোদ্ধে কথা বলে উল্টো তাদেরকে মিথ্যা- সাজানো নারী নির্যাতন মামলা, ইয়ারা, গাজাঁ বা থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে চোরি ডাকাতির মামলায় নাম দেওয়ার ভয়ে কারণে বিরোদ্ধে কেউ মূখ মূখতে রাখি নন! এ তাদের বিরোদ্ধে তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে আসল চোর ডাকাকদের সেন্ডিকেট। এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন গাড়ির জাল কাগজ দিয়ে সাধারন মানুষের সাথে গাড়ি ক্রয়- বিক্রয় করে প্রতারনা করে আসছে। এ ব্যাপারে অবৈধ গাড়ির মালিকরা বিভিন্ন স্থানে জুর সূরে বলেতে শুনা যায় যে, প্রকাশ্যেই বলছে যে, আমাদের গাড়ির কোন কাগজ লাগেনা!
হাইওয়ে পুলিশকে ২/১শ টাকা দিলেই হয়ে যায়। আমাদের গাড়ির কোন কাগজ লাগেনা। এখানে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, তাহলে কি হাইওয়ে পুলিশ তাদের পকেটস্থ? বিশেজ্ঞদের ধারণা যদি হাওইয়ে পুলিশ সঠিক ভাবে মহা সড়কে সরকারী নিয়ম মতো সিএনজি অথবা অবৈধ যত গাড়ি বা যত কাগজবিহীন গাড়ির রয়েছে সকল চালকদের গাড়ির কাগজ দেখেন তাহলে হয়তো অনেক জাল- জালিয়াতির গাড়ি কাছে ধরা সম্ভব। না হয় ঐ অবৈধ চোরাকারবারীরা ২/১শ টাকার নানান স্থানে কথা বলছে- আর ২/১জন পুলিশের কারণে সমস্ত পুলিশ ডিপার্মেন্টোর বদনাম হচ্ছে।
সঠিকভাবে যদি পুলিশ চুরি, ডাকাতি, মাদক, বিভিন্ন কলনিতে পতিতা সহ বিভিন্ন অবৈধ কার্যক্রম নিয়ে অভিযান চালায় তাহলে হয়তো উঠতি বয়সী যুবকরা খারাপ কজে থেকে রেহাই পাবে। না হয় যুব সমজ অচিরেই ধংশের দিকে ধাবিত হবে। এমন কি নবীগঞ্জে- আউশকান্দি, ইনাগঞ্জ, সৈয়দপুর ও শেরপুর এলাকায় ইদানিং চোরি- ডাকাতি, মাদক, পতিতা ব্যবসয়রা সক্রিয় হয়ে ওঠেছে।
এসব কি কেউ দেখার নেই? এই গুরুত্বপূর্প মামলাটির সঠিত তদন্ত ও চোরাইকৃত গাড়ি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আসামীকে জামিন না মঞ্জুর করার জন্য পুলিশ বিজ্ঞ আদালতে একটি আবদেন করেন- আসামী যদি জেল হাজত থেকে ছাড়া পায় তাহলে চিরদিনের জন্য দেশের বাহিরে পালিয়ে যাওয়া সম্ভবনা রয়েছে। বা আরো বড় ধরনে কোন অঘটন ঘটাতে পারে বলে আশংখা রয়েছে। নবীগঞ্জ থানায় আসামী আজির উদ্দিন এর বিরোদ্ধে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ২ তারিখ ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোটের মামলাও রয়েছে।
চোরাকৃত মিশুক গাড়ির বড়ির বডি এখন পর্যন্ত পাওয়া যায় নি! চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধারে পুলিশ বিজ্ঞ আদালেতে আসামীদের বিরোদ্ধে বিমান্ডেও আবেদন করেছে পুলিশ। এই চোরচক্র যদি জামিনে ছাড়া পায় তাহলে সঠিক তথ্য সহ মূখোশপড়া চোরচক্রের গফাদারদের চিহিৃত করা ধরা যাবেনা। এমন কি তাদের প্রভাবশালী গডফারদারা অনেক অবৈধ টাকার মালিক।
তারা আসামীদের জামিনে বের করে এনে তাদেরকে যেকোন মূলে দেশে রাহিরে পাটানোর সম্ভবনা বেশী। অতএব, উক্ত আর্ন্তজেলার চোরক্রের আসল গডফাদারকে চিহিৃত বা না ধরলে নবীগঞ্জ উপজেলায় আরো চোরি ডাকাতির সম্ভানা রয়েছে বলে ধারনা করছেনে উপজেলাবাসী। ইদানিং নবীগঞ্জ উপজেলার সর্ব সাধারন চোর আতংকের ভূগছেন। অনেকেই রাত জেগে বাড়ি- ঘর ও গোয়াল ঘর পাহারা দেওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
তাই প্রশাসনেসর প্রতি সচেতন নাগরিকদের দাবী নবীগঞ্জে যেন আর চোরি ডাকাতি না হয়। প্রয়োজনে নবীগঞ্জের নাগরিকদের নিরাপতার জন্য সচেতন নাগরিকদের নিয়ে পুলিশ কাজ করার জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, রাজনীতিবৃদ সহ সর্ব সাধারন পুলিশকে যেকোন সময় সহযোগীতার জন্য এগিয়ে আসবে।
অপরদিকে, আটকৃত আসামীদের বিরোদ্ধে আদালতে পুলিশ আবেদন করে উল্লেখ করেছেন যে, সকল আসামী ও চোরির সঠিক তথ্য উদঘাটন না হওয়া পর্যন্ত যেন ধৃত আসামীদের জামিন না হয়। উক্ত আসামীদের গতকাল রবিবার নবীগঞ্জ থানা পুলিশ হবিগঞ্জ আদালতে হাজির করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে হবিগঞ্জ ধূলিয়ারখাল জেল হাজতে প্রেরন করেন। এ খবর পেয়ে নবীগঞ্জ তথ্যা আউশককান্দি এলাকার মানুষ পুলিশ ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলার জুড়ে কিছুটা হলেও চোর আতংক একটু কমেছে।