সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:২৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৬, ২০২২
প্রতিনিধি/গোলাপগঞ্জঃঃ
গোলাপগঞ্জে জোরপূর্বক জায়গা দখল করে গেইট নিমাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় লক্ষনাবন্দ ইসলামাবাদ গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল মজিদের ছেলে জুনেদুর রহমান জুনেদ(৪৫) বাদী হয়ে ৩জনের নাম উল্লেখ করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। বিবাদীরা হচ্ছেন লক্ষনাবন্দ ইসলামাবাদ গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল মজিদের ছেলে জাহেদুর রহমান (৪৮), মৃত মতিউর রহমান মতুর ছেলে আতিকুর রহমান (৪০),আব্দুস শহিদ নুনু মিয়ার ছেলে রিমন আহমদ (২৬)।
ঘটনাটি লক্ষনাবন্দ ইউনিয়নের ক্লাব পয়েন্টে গত ২৫ জুলাই সকাল ১১ টায় ঘটেছে। এব্যাপারে মামলার বাদী জুনেদুর রহমান জুনেদ এ প্রতিবেদককে জানান আমাদের ,পৈত্তিক সম্পত্তি লক্ষনাবন্দ মৌজার জেএল নং-৬৬, বিএস খতিয়ান-৭৪৪, এসএ দাগ ২৩১৫, মোট ভূমির পরমিান ৬০শতকের মধ্যে আমরা ৫ভাই অংশিদার।
এর মধ্যে তিন ফুট ভূমি ভাটোয়ারা করার সময় সকলের মতামতে যাতায়াতের জন্য এজমালি রাখা হয়েছে। এজমালি ৩ফুট জায়গার উপর গত ২৫ জুলাই সকাল ১১টায় ১নং বিবাদী আমার বড় ভাই জাহেদুর রহমান ভাটোয়ারার পরে অবশিষ্ট এজমালি ৩ ফুট জায়গা জোরপূর্বক দখল করে গেইট নির্মাণ করেন। এসময় আমরা বাকী ৪ভাই জাহেদুর রহমানকে এজমালি ৩ ফুট জায়গায় গেইট নির্মাণে আপত্তি করলে জাহেদুর রহমান ও তার লাঠিয়াল বাহিনী ২নং ও ৩নং বিবাদীকে নিয়ে আমার বসতভিটায় এসে দেশীয় লাঠি, দা ও রুইল নিয়ে আমার বাড়ীর রাস্তার মধ্যে হাজির হয়ে উচ্চস্বরে গালিগালাজ ও ডাকাডাকি করে এবং আমার জিহ্বা কেটে দিবে বলে হুমকি দেয় ।
এছাড়া আমার ছেলে মেয়ে পরিবারসহ আমাকে বন্দুক দিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এসময় আমি প্রাণের ভয়ে ঘর হতে বের না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা এসব হুমকি দিয়ে বাড়ির সীমানা হতে চলে যায়। তিনি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন একই তারিখ দুপুর ২টায় নিম্ন তফশীল বর্ণিত লক্ষনাবন্দ ক্লাব পয়েন্টে আমি আমার দোকানে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে গেলে তখন বিবাদীগণ আমাকে দেখা মাত্র গালিগালাজ করে , আমার দোকান আগুনে পুড়িয়ে দেবে,আমাকে সন্ত্রাসীরা দোকান না খোলার হুমকি ও নানা ভয়ভীতি ও আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। আমি আমার প্রাণের ভয়ে এক সপ্তাহ ধরে আমার দোকান বন্ধ রেখেছি । আমি একজন ব্যবসায়ী এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। এছাড়া আমার ছেলেমেয়েরা বিদ্যালয়ে গমন করতে আতঙ্কে রয়েছে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা যে-কোনো সময় আমার ক্ষতি করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচাজ মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান এঘটনার তদন্তের জন্য উপপরিদর্শক আশীষ তালুকদারকে দায়িত্ব দিয়েছি । তিনিকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছি।