সিলেট ২৩শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৩৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৩, ২০২০
প্রতিনিধি/দোয়ারাবাজারঃঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে হারুনুর রশিদ নামে এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নামে অনিয়ম ও দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র অভিভাবক মোঃমিজানুর রহমান উজ্জ্বল অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগে গত ৮ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। হারুনুর রশিদ উপজেলার পেস্কারগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,বিদ্যালয়ের দরজা নিজের ভবনে লাগানো,ক্ষুদ্র মেরামত,স্লীপ ও অন্যান্য ব্যয় বাবদ প্রায় ২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা যথাযথ ব্যবহার না করা ,বিদ্যালয়ের বিভিন্ন মালামাল নিজের বাসায় নিয়ে ব্যবহার, প্যারা শিক্ষকের নামে প্রতি মাসে ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে ৫/৬ হাজার টাকা উত্তোলন করে প্যারা শিক্ষককে মাসে দুই হাজার টাকা দিয়ে বাকী টাকা নিজের পকেটে রাখা,পরীক্ষার সময় সমাপনী ফি বাবদ ৬০ টাকার স্থলে ১০০/১৫০ টাকা উত্তোলন,খেলাধুলার নামে টাকা উত্তোলন করে হিসাব না দিয়ে গড়িমসি করা, বিদ্যালয়ের ২ হাজার কেজি সরকারী বই বিক্রি করে কোন খাতে ব্যয় করেছেন তার হিসাব নেই, বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে তার খেয়ালখুশিমতো কাজ করছেন, বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন বাড়ী পরিদর্শন ,বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় বসে ধুমপান করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ করা হয়েছে। তার মর্জিমতো স্কুলে যাতায়াত করেন। এসব কারণে স্কুলের স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট হয়। এর কারণে শিক্ষার গুণগতমান ব্যাহত হচ্ছে। এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সুদের ব্যাবসারও অভিযোগ রয়েছে গুটা এলাকায়।
ঐ শিক্ষকের সুদের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়ছেন অনেকেই। অনেকেই আবার সুদের টাকার সুদ পরিশোধ করতে না পেরে আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে সুদের টাকা নিয়ে হতদরিদ্রদের জীবনমানের উন্নয়ন না হলেও, প্রধানশিক্ষক থেকে হারুনুর রশিদ হয়ে গেছেন কোটিপতি।
মিজানুর রহমান উজ্জ্বল বলেন, প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে তার খেয়াল খুশিমতো বিদ্যালয় চালাচ্ছেন। এ ছাড়া তিনি নানা দুর্নীতি করে আসছেন। তাই তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
পেস্কারগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ বলেন, আমি এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তা তদন্ত করা হলেই সব সত্য বেরিয়ে আসবে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা বলেন, প্রধান শিক্ষক বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।