সিলেট ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:১১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২
কলি বেগম/জগন্নাথপুরঃঃ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ফের ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন সবার প্রিয়জন জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও সফল ব্যবসায়ী মিন্টু রঞ্জন ধর। তিনি বিগত ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে হাড্ডহাড্ডি লড়াই করেন। সেই হেভিওয়েট প্রার্থী মিন্টু রঞ্জন ধর এবার আবারো প্রার্থী হওয়ার খবরে রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়ী সহ সকল মহলে ব্যাপক আলোচনার ঝড় বইছে।
তবে এবার তিনি দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে চান। যে কারণে তিনি দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থীর নামের তালিকা দলের কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে মিন্টু রঞ্জন ধরের নামও রয়েছে।
এ বিষয়ে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মিন্টু রঞ্জন ধর বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ আমাকে খুব ভালবাসেন। যার প্রমাণ বিগত ২০০৯ সালের নির্বাচনের ফলাফল। জনগণ আমাকে ভালবেসে ১৭ হাজার ৬০৩ ভোট দিয়েছিলেন। আমাকে এতো ভোট দিয়ে সমর্থন করায় আমি আজও ভোটারদের কাছে ঋণী। তাই জনগণের চাওয়া-পাওয়াকে সম্মান জানিয়ে আমি এবারো প্রার্থী হয়েছি। আমি আশাবাদী দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। দলীয় প্রতীক নৌকা পেলে বিজয় সহজ হবে। আর আমার বিজয় হলে আওয়ামীলীগ ও জনতার বিজয় হবে। কারণ বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান পদটি রয়েছে বিএনপির দখলে। তাই বিএনপির দখল থেকে পুন:উদ্ধারে আমাকে দলীয় ভাবে মনোনীত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
২৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার নির্বাচনী আলাপচারিতায় নাম প্রকাশ না করে একাধিক আওয়ামীলীগের দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটাররা বলেন, জনতার পছন্দের প্রার্থী হচ্ছেন মিন্টু রঞ্জন ধর। তাই জনগণের চাওয়া-পাওয়া পূরণে তাঁকে দলীয় প্রতীক নৌকা দেয়া উচিৎ। তিনি এমনিতেই একজন হেভিওয়েট প্রার্থী। বিগত ২০০৯ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তিনি হাড্ডহাড্ডি প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। এবার তিনি দলীয় প্রতীক পেলে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। আর তিনি বিজয়ী হলে আওয়ামীলীগ ও সাধারণ মানুষের বিজয় হবে। সেই দিক বিবেচনা করার জন্য আমরা কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডের প্রতি আহবান জানাই।
প্রসঙ্গত-গত ২৭ জুলাই জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। এ সময় ভয়াবহ বন্যার কারণে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ফের গত ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।