সিলেট ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৩৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩, ২০২২
প্রতিনিধি/সিলেট জেলাঃঃ
সমাজে ধনি-গরিবের ভেদাভেদ ভুলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজার আনন্দ সবাই সমান ভাবে উপভোগ করার প্রচেষ্ঠায় সিলেটে সুবিধা বঞ্চিত পরিবার ও চা শ্রমিকদের বস্ত্র প্রদান করা হয়েছে।দেশের প্রান্তিক জনগোষ্টির অগ্রগতির কল্যানে অযাচক আশ্রম বাংলাদেশের অব্যাহত মানবিক কার্যক্রমের অংশ হিসাবে অসহায়দের মাঝে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দিতে সিলেটের লাক্কাতুরা চা বাগান এলাকায় উপহার বিতরণসহ নানা আয়োজন করে অযাচক আশ্রম ও স্বপ্নীল বিদ্যানিকেতন স্কুল।
শিল্পীর তুলির আঁচড়ে প্রতিমায় কারুকার্য শেষে ষষ্ঠি‘র নতুন ছোঁয়ার পর মহাসপ্তমীর রবিবার দিনে চা-শ্রমিক,নারী-শিশু ও বয়স্কদের নতুন কাপর উপহার প্রদান অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন,সিলেট জেলা পুলিশের জকিগঞ্জ সার্কেল অফিসের ইন্সপেক্টর শ্যামল বনিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন,পার্কভিউ মিডিকেল কলেজের প্রফেসর ডা:বিধান দেবনাথ,স্বপ্নীল বিদ্যানিকেতন চট্টগ্রামের পরিচালক জাহিদ হাসান,অ্যাডভোকেট দেবাশীষ পুরকায়স্থ,অ্যাডভোকেট বিজয় কৃষ্ণ দাস।
উষা সংস্কৃতিক স্কুলের পরিচালক সাদিয়া আফরিনের উপস্থাপনায় বক্তারা বলেন, সমাজ ও ধর্মীয় সচেতনতামূলক কাজের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে অযাচক আশ্রম বাংলাদেশ।দেশের সেরা ১০ জন সাদা মনের মানুষের একজন অযাচক আশ্রম প্রধান ডাঃ যুগল ব্রক্ষচারীর তত্বাবধানে প্রত্যান্ত অঞ্চলের অনাথ শিশু,অসহায় মা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টিকে সামনে এগিয়ে নিতে অযাচক আশ্রমের অন্তভুক্ত ১৪৫টি অখন্ড মন্ডলী‘র সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।
মানুষ মানুষের জন্য,মানবতাই পরম ধর্ম এ নীতি আদর্শের বাস্থবায়ন ও অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার ব্রতে অযাচকের এসব কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহব্বান জানান তারা।অনুষ্ঠান শেষে ভুড়িভোজ ও উষা সাংস্কৃতিক স্কুলের আয়োজনে অনুষ্টিত নৃত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টানে প্রানভন্ত হয়েছিল লাক্কাতুরা চা বাগানের গলফ মাঠ।এ সময় শিশুদের উন্নত চরিত্রগঠন ও মানব জীবনের কল্যানকর কাজের উপর অষণ্ডমণ্ডলেশ্বর শ্রীশ্রীস্বামী স্বরুপানন্দ পরমহংসদেব’র প্রণীত অমূল্য গ্রন্থাবলীর বেশ কিছু বই উপস্থিত লোকজনের হাতে তুলে দেন সংশ্লিষ্টরা।