সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৫৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
প্রতিনিধি/ছাতকঃঃ
ছাতকে জলমহাল শুকিয়ে মৎস্য নিধনের হিড়িক পড়েছে। জলাশয়ের পাড়ে ডিজেল চালিত পাম্প বসিয়ে জলাশয় শুকিয়ে এ মৎস্য নিধন যজ্ঞ চালাচ্ছে ইজারা গ্রহীতারা। সরকারী নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে জলাশয় শুকিয়ে মৎস্য নিধন চলছে। এতে করে দিনে-দিনে মিঠা পানির সু-স্বাদু দেশী মাছের প্রজাতি হারিয়ে যাচ্ছে।
সরকারীভাবে ইজারা দেয়া জলমহাল সহ স্থানীয় ছোট-বড় খাল-বিলও রক্ষা পাচ্ছেনা শুকিয়ে মাছ ধরার হাত থেকে। উপজেলার সর্বত্রই বাধাহীনভাবে এসব কার্যক্রম চলছে। জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরায় একদিকে যেমন মাছের বংশ ধ্বংস হচ্ছে অপরদিকে হাওরের কৃষি জমি পড়ছে হুমকীর মুখে। পানি সেচের অভাবে বোরো আবাদ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের শাপলা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির কর্তৃক হাওয়া-উরা-জিয়া জলমহাল শুকিয়ে মাছ আহরনের প্রস্তুতি বন্ধ ও এলাকার কৃষি জমি রক্ষায় ১৬ জানুয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি অভিযোগ দিয়েছেন জাহিদপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র দবির মিয়া।
অভিযোগে বলা হয়, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ইজারা গ্রহীতারা হাওয়া-উরা-জিয়া জলমহাল শুকিয়ে মৎস্য নিধনের প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতিমধ্যেই ইঞ্জিন চালিত মেশিন জলমহালের পাড়ে স্থাপন করেছে। অন্যান্য বছর বোরো চাষের পর মাছ আহরণ করা হতো। কিন্তু এ বছর বোরো ধান রোপনের আগেই জলমহালটি শুকিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলে জলাশয় সংলগ্ন ও এর আশপাশের প্রায় ৫শ একর বোরো জমি পড়েছে হুমকীর মুখে।
এ ছাড়া জলমহালের সাথে পাশ্ববর্তি লিজ বহির্ভুত অপরএকটি জলমহাল জবরদখল করে অবৈধবাবে ভোগ করে যাচ্ছে লিজ গ্রহীতার লোকজন। মাছের বংশ ও কৃষি জমি রক্ষায় জলমহাল শুকিয়ে মাছ আহরণ বন্ধ করতে প্রশাসনের জরুরী পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানান তিনি।