সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:০১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
প্রতিনিধি/জামালগঞ্জঃঃ
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে নৌপথে চলছে বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়,জেলার ছাতক, বিশ্বম্ভরপুর,তাহিরপুরসহ সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলের বালু মহাল থেকে বালু, পাথর সংগ্রহ করে নৌপরিবহনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নেয়া হয়।
সংগ্রহকৃত এই বালু, পাথর বাল্কহেড (স্টীলের নৌকা) দিয়ে নেয়ার সময় একাধিক স্থানে বিভিন্ন খাতে সরকারি রাজস্ব দেওয়া হয়। নৌপথের এতসব পয়েন্টে সরকারি রাজস্ব দিয়েও নৌকা যখন মূল (সুরমা) নদীতে নামে তখনই ঘটে বিআইডব্লিউটিএ’র নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির মত ঘটনা।
সম্প্রতি বিআইডব্লিউটিএ’র নাম ভাঙিয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। গতকাল বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছে দূর্লভপুর বালু, পাথর ব্যবসায়ী সমিতি। সমিতির ৭৮ জন স্বাক্ষরিত দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানাযায়, দীর্ঘবছর যাবত তাঁরা বালু, পাথর ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। বিগত কিছুদিন যাবত মেসার্স জিসান এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান বিআইডব্লিউটিএ’র ইজারাদার দাবি করে সুরমা নদীতে লোড-আনলোডকৃত নৌযান হতে অবৈধভাবে প্রতি ঘনফুট বালু থেকে মনগড়া ভাবে ৭০ থেকে ৮০ পয়সা পর্যন্ত জোর পূর্বক অবৈধ চাঁদা আদায় করছে।
প্রতিদিন নৌ শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই চক্র। উপজেলার রক্তি ও সুরমা নদীর মিলনস্থলের চলতি নদীতে চলাচলকারী বাল্কহেড থেকে দিনব্যাপী প্রকাশ্যে তোলা হয় এই টাকা। চাঁদা দিতে রাজি না হলে নৌকায় থাকা শ্রমিকদের লাঞ্ছিত এবং মারধর করে চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা। ফলে ব্যবসা পরিচালনায় ক্ষতিগ্রস্তসহ নিরাপদভাবে বালু পরিবহনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। এছাড়া কোনো নৌযান শ্রমিক তাদের কাগজ দেখতে চাইলে তারা তাদের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করারও ভয়ভীতি দেখান। এতে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে, পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলারও অবনতি হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান জিসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শাহ রুবেল আহমদ জানান, আমি কোন চাঁদাবাজি করিনা। সরকারকে রাজস্ব দিয়ে এই টুল আনা হয়েছে। বরং কিছু লোক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমার পিছু লেগেছে। আমি তাঁদের বিরুদ্ধে ডিসি ও পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছি।
জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসের বলেন, নিয়মের বাহিরে গিয়ে তারা যদি অতিরিক্ত টাকা আদায় করে এবং সুনির্দিষ্ট প্রমানসহ যদি আমি অভিযোগ পাই তাহলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব বলেন, আমি এসংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা মিললে ব্যবস্থা নেয়া হবে।