সিলেট ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৫১ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২০
আসাদুর রহমান সানিঃ
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমান বলেছেন, আমাদের সাথে কিছু ছদ্মবেশী মুক্তিযোদ্ধা আছে। আমি সকল মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে অনুরোধ রাখছি যারা আপনাদের সাথে যুদ্ধের ময়দানে ছিলেন না অথচ মুক্তিযোদ্ধা সেজে আছে তাদেরকে আপনারা রাজাকার বলবেন। তাদের কাগজপত্র বাতিল করেন, তাদের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করেন। মঙ্গলবার ১৭ মার্চ বিকেলে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী মুজিববর্ষ ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ইউনিট কমান্ড এর উদ্যোগে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আলোচনা মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দোয়া বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফেরাত কামনা, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন এবং করোনা ভাইরাসের প্রভাব বিশ্ববাসীর মুক্তি লাভের জন্য দোয়া করা হয়েছে। দোয়ার পর বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ইউনিট কমান্ডের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল। আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বার্হী কর্মকর্তা নাহিদা বারী, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, সদর উপজেলা ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার শাহাজাহান ভুইয়া জুলহাস, চাষাঢ়া ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার ফরিদা আক্তার, বন্দর উপজেলা ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার আব্দুল লতিফ, যুদ্ধকালীন কমান্ডার আমিনুর রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা, বিকেএমইএ এর সহ সভাপতি(অর্থ) মোর্শেদ সারোয়ার সোহেল,
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু সহ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা। তিনি আরো বলেন, ২১ বছর আমরা ‘জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু,স্লোগান দিতে পারি নাই। আপনারা যুদ্ধ করেছেন, বিজয় এনেছেন দেশ দিয়েছেন, শহীদ হোন নাই গাজী হয়ে ফিরেছেন। মৃত্যুর ভয় করবেন না। একদিন মরন আসবেই। এই মুজিববর্ষে আমাদেরকে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে আমাদের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। যাতে করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানেরা, নাতি-নাতনিরা গর্ব করে বলতে পারেন আমরা মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সন্তান। আমি বেচেঁ থাকি বা মরে যাই আপনারা সকল মুক্তিযোদ্ধারা মিলে সেই সকল দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। এই বাংলাদেশ থেকে আমরা রাজাকার আলবদর আর তাদের দোসরদের বিদায় করবো। আমরা না পারলেও আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম তাদেরকে বাংলাদেশে আর থাকতে দিবে না। এই মুজিব বর্ষেই আমরা তাদেরকে সেই ভাবে প্রস্তুত করবো।