সিলেট ১০ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:১১ অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০২৩
জেলা প্রতিনিধিঃঃ
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার পইলারকান্দি ইউনিয়নের কুমড়ি দূর্গাপুর গ্রামে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত শতাধিক লোকজন আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় বিথঙ্গল ফাঁড়ির একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমড়ি দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ফারুক আমিন ও তার লোকজনদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারসহ নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের এডভোকেট আব্দুল হামিদসহ তাদের অনুসারী লোকজনদের । দুপুরে এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত শতাধিক লোকজন আহত হয়। যদিও এডভোকেট আব্দুল হামিদের দাবী তিনি ভাইস চেয়ারম্যানের বিপক্ষে একটি মানব পাচার মামলার বাদী পক্ষের উকিল। তাই এ ঘটনার জেরধরেই প্রতিপক্ষরা তিনিসহ তার লোকজনদের উপর হামলা করেছে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
গুরুতর আহত অবস্থায় ফজলুর রহমান, এরশাদ আলী, নজরুল ইসলাম, রায়হান আহমেদ, রাসেল মিয়া, নিম্মত আলী, মো. নজরুল, সাইমুদ্দিন, জুয়েল চৌধুরী, জাকির হোসেন, সাহিদ মিয়া, ছায়েদ মিয়া, এমদাদুল হক, উসমান মিয়া, বিজয় মিয়া, মাসুদ মিয়া, হুমায়ুন মিয়া, দিপু মিয়া, সায়মন হাসান, কাশেম মিয়া, সালেক মিয়া, রেজাউল, নার্গিস আক্তার, মাহমুদুল হক, রুকন উদ্দিন, রহিছ মিয়া, রোমান মিয়া, নুরুল আমিন, সজিব আহমেদ, মুছা মিয়া, আমিনা বেগম, রায়দর মিয়া, নিহার বেগম, জেসমিন আক্তার, নিশাত রহমান, আবুল কালাম, জাহাঙ্গীর, জোসনা আক্তারকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে জানান, খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।