সিলেট ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:০৪ অপরাহ্ণ, জুন ৬, ২০২৩
কলি বেগম/জগন্নাথপুরঃঃ
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলা সহ প্রতিটি উপজেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার অধিক বোরো ফলন ও বাড়তি ফসল ডেমি ধান পাওয়ায় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং কৃষক সহ সকল পেশার মানুষ অনেক খুশি হয়েছেন। বাম্পার ধান পেয়ে হাওরাঞ্চলের প্রতিটি ঘরে বর্তমানে রীতিমতো আনন্দ-উৎসব চলছে।
মানুষের সেই আনন্দ ধরে রাখতে ও বোরোর পর এখন আউশে বাম্পার ফসল উৎপাদনের লক্ষে কৃষি বিপ্লব ঘটাতে নানামুখি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন কৃষি বান্ধব সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
এরই অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসকের কল্যাণ তহবিলের অর্থায়নে আউশ আবাদ বৃদ্ধির লক্ষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে জগন্নাথপুর উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার বিতরণ করা হয়েছে।
৬ জুন মঙ্গলবার জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিস প্রাঙ্গনে সার বিতরণ উদ্বোধন করেন এবং প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাজেদুল ইসলাম। জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জগন্নাথপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ.কে.এম মোখলেছুর রহমান।
এ সময় জগন্নাথপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো.শাহজাহান মিয়া, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাজন আকন্দ, উপ-সহকারী উদ্বিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা তপন চন্দ শীলসহ উপজেলার সকল ইউনিয়নের সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ ও উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা সুবিধাভোগী কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এতে জনপ্রতি ২০ কেজি করে ১৫০ জন দরিদ্র প্রান্তিক কৃষকের মাঝে এমওপি ও ডিএপি সার বিতরণ করা হয়।
সার বিতরণ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাজেদুল ইসলাম বলেন, দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা আন্তরিকভাবে কাজ করছি। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার বিতরণ তা প্রমাণ করে। তাই জগন্নাথপুর উপজেলায়ও খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সকল জমি আবাদের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। কোন অবস্থায় জমি পতিত রাখা যাবে না।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলায় এবার ২৬১০ হেক্টর আউশ জমি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকৃতি অনুকুলে থাকলে ১৩৬০ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হওয়ার কথা। তবে এ অঞ্চলে বোরোর তুলনায় আউশ জমির পরিমাণ কম ও অতীতে নানা কারণে ফলন কম পাওয়ায় কৃষকদের আউশ আবাদে আগ্রহ কমে গেছে। তাই সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদান সহ মাঠে-ময়দানে গিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আউশ আবাদে কৃষকদের আমরা উৎসাহিত করছি। এতে দিনেদিনে কৃষকদের উৎসাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে ও আবাদি জমির পরিমাণও বাড়ছে। ফলে আশা করছি, এবার জগন্নাথপুরে লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমি আবাদের আওতায় আসবে এবং বাম্পার ফলন উৎপাদন হবে।
এদিকে-সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সার পেয়ে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দরিদ্র কৃষক জনতার মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। জমি আবাদে তারা আরো উৎসাহিত হয়েছেন। এতে জেলা প্রশাসকের এ মহৎ উদ্যোগ সফল ও স্বার্থক হয়েছে বলে কৃষকদের মধ্যে অনেকে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।