সিলেট ২রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৫৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুটি মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টায় ১৪ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও এক হাজার শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে। চাঁদাবাজি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়। এর মধ্যে একটিতে বাদী হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মো. আবদুর রাজ্জাক এবং আরেকটিতে বাদী হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ। চট্টগ্রাম জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটে শাটল চালাবেন না বলে জানিয়েছেন লোকোমাস্টার ও গার্ডরা। কারণ, গত বৃহস্পতিবার রাতে শাটল ট্রেনে দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ট্রেনটির লোকোমাস্টার (চালক), সহকারী লোকোমাস্টার ও একজন গার্ডকে মারধর করেন। তবে চবির সহকারী প্রক্টর সৌরভ সাহা জয় দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমরা আলোচনা করেছি লোকোমাস্টারদের সঙ্গে। আজ আড়াইটা থেকে শাটল যোগাযোগ সচল হবে।’ উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে শাটল ট্রেনের ছাদে চড়ে যাওয়ার সময় হেলে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১৬ শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের মধ্যে তিনজন শিক্ষার্থী এখনো চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনা কেন্দ্র করে রাত ১২টার দিকে ৬৫টি যানবাহন, উপাচার্যের বাসভবন, শিক্ষক ক্লাব এবং পুলিশ বক্স ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এরপর শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে পুলিশ। বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ, প্রক্টর আজিম সিকদার, নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মো. আবদুর রাজ্জাক ও পাঁচজন সহকারী প্রক্টর হাটহাজারী থানায় যান। তবে ওইদিন মামলা না করেই রাত ১২টায় তারা থানা থেকে বের হয়ে যান। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের অন্যতম বাহন শাটল ট্রেন। এটি চট্টগ্রাম নগরের বটতলী স্টেশন থেকে ক্যাম্পাস অভিমুখে দিনে সাতবার যাওয়া-আসা করে।
এতে দিনে ১০ হাজার শিক্ষার্থী যাতায়াত করেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কিংবা ক্লাস হবে কি না, এটিও নির্ভর করে ট্রেন চলাচলের ওপর। রেলওয়ে সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে শাটল ট্রেনে দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ট্রেনটির লোকোমাস্টার (চালক), সহকারী লোকোমাস্টার ও একজন গার্ডকে মারধর করেন। এরপর থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে গতকাল ও আজ ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখেন লোকোমাস্টাররা।