একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেই বিদ্যুৎ

প্রকাশিত: ৩:১৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩

একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেই বিদ্যুৎ
Spread the love

১৫ Views

প্রতিনিধি/বিশ্বনাথঃঃ

একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেই বিদ্যুৎ। এমন অবস্থায় রাতে নেই ঘুম, দিনের কাজে নেই স্বস্তি। গরম আর বিদ্যুতহীনতায় সিলেটের বিশ্বনাথে অতিষ্ঠ জনজীবন। সকাল হতে না হতেই সূর্যের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সময় গড়িয়ে দুপুর আসতে না আসতেই সেই তাপদাহ রীতিমত অসহনীয় হয়ে উঠছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে গত শনিবার সারাদিন বিদ্যুৎ বন্ধের ঘোষনা এসেছে।

 

 

 

এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ। জানা গেছে, ৩৩ কেভি লাইনের রক্ষণাবেক্ষণ ও বিদ্যুৎ লাইনের পাশের গাছের ডালপালা কাটার জন্য আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে পল্লীবিদ্যুৎ। এদিকে, সেপ্টেম্বর নাগাদ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা আশা দিলেও সেই সময়ে এসে লোডশেডিং আরও বেড়েছে। দিনে ও রাতে ৮ থেকে ১০ বার কোনো কোনো এলাকায় ১২ থেকে ১৫ বারও বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। দুই ঘণ্টার বেশিও লোডশেডিং হচ্ছে কোথাও। বাদ যাচ্ছে না ছুটির দিনেও।

 

 

 

এতে কর্মজীবী মানুষের দৈনন্দিন কাজে চরম ব্যাঘাত ঘটছে। পাশাপাশি ভাদ্রের অসহনীয় গরমের ফলে হাঁপিয়ে উঠতে হচ্ছে মানুষকে। বিদ্যুৎ গ্রাহকরা জানান, একদিকে বিদ্যুৎ নেই, অন্যদিকে অত্যাধিক গরমের কারনে তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যহত হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ায়ও বিঘ্ন ঘটছে। অভিভাবকরা বলছেন, অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের ফলে রাতে ঘুম না হওয়ায় দিনের বেলায় এর প্রভাব পড়ছে। পড়াশুনায় মনোযোগী হতে না পারার পাশাপাশি সময়মত স্কুলেও যেতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া নবজাতক ও রোগীরাও লোডশেডিংয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন।

 

 

 

একটু পরপর বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ঠিক মতো ঘুমাতেও পারছেন না তারা। সিলেট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ বিশ্বনাথ জোনাল অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বিপুল সংখ্যক এসব গ্রাহকের বৈদ্যুতিক চাহিদা মেটাতে দৈনিক ১৫-১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এর প্রয়োজন হলেও পল্লীবিদ্যুৎ মাত্র ৮ থেকে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছে, যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। ফলে গ্রাহকরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া জরুরী রক্ষণাবেক্ষনের কাজে ফলে ঐসব এলাকায় সাময়িক সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়। জ্বালানী সংকটের কারনেই বিদ্যুতের এ ঘাটতি হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে পল্লীবিদ্যুৎ।

 

 

 

সিলেট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের এজিএম আব্দুল্লাহ শিকদার জানান, গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিতে আমরা সব সময় তৎপর রয়েছি। আমাদের গ্রাহক সংখ্যা অনেক বেশি। আমরা সেই চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ পাচ্ছি তাই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।


Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Follow us

আর্কাইভ

September 2023
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930