সিলেট ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:০৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২৩
প্রদিনিধি/সুনামগঞ্জঃঃ
সুনামগঞ্জের বালিয়াঘাট সীমান্তে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে এক কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যুর রেশ কাটার আগেই, সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী ও চোরাকারবারীরা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রায় ১শ মেঃটন কয়লা পাচাঁর করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) ভোর রাতে জেলার তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা পশ্চিমপাড় ও লালঘাট এলাকা দিয়ে, ভারত থেকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত প্রায় ১শ মেঃটন কয়লা ১০টি মাহিন্দ্র লড়িগাড়ি বোঝাই করে টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্পের সামনের রাস্তা দিয়ে বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন নীলাদ্রী লেকপাড়ে অবস্থিত একাধিক ডিপুতে নিয়ে মজুত করে সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী ইয়াবা কালাম, হোসেন আলী, জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, বাবুল মিয়া, কসাই মিয়া, শফিক মিয়া, আইয়ুব আলী, মানিক মিয়াগং। অন্যদিকে টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে একই ভাবে কয়লা পাচাঁর করে বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের বিভিন্ন ডিপুতে মজুত করে নুরজামাল, রুস্তম মিয়া, ফাইজু মিয়া, সবুজ মিয়াগং। অথচ গত রবিবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বালিয়াঘাট সীমান্তের অবস্থিত আর্ন্তজাতিক সীমানা পিলার ১১৯৭ সংলগ্ন চোরাই কয়লার গুহা থেকে কয়লা পাচাঁরের সময় নুরুল হক (২০) নামের এক কিশোর মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে।
এরআগে গত শনিবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৯টায় টেকেরঘাট সীমান্তের ১২০০ পিলার সংলগ্ন রজনী লাইন এলাকা দিয়ে কয়লা পাচাঁর করার সময় রুবেল মিয়া (২৫) নামের এক যুবককে বিএসএফ ধরে নিয়ে যায় এবং দেড়ঘন্টা পর ছেড়ে দেয়। এছাড়াও গত ১৩ই অক্টোবর (শুক্রবার) সকাল ৮টায় বালিয়াঘাট সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় চোরাই গুহায় মাটি চাপা পড়ে কিশোর সুমন মিয়া (১৭) ও গত ৫ই আগস্ট (শনিবার) দুপুরে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় পাথর চাপা পড়ে আক্তার হোসেন (১৬) নামের আরো এক কিশোরের মৃত্যু হয়। তারপরও সোর্স ও তাদের গডফাদারের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়না আইনগত পদক্ষেপ।
এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এধরনের ঘটনা যে আর না ঘটে সেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহববুর রহমানের সরকারী মোবাইল নাম্বারে কল করার পর তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।