তবে সরকার যেহেতু ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফের মেয়াদ আর বাড়ায়নি এবং এরই মধ্যে বিশ্ব বাজারেও বাড়তে শুরু করেছে সয়াবিন-পাম অয়েলের দাম, তাই আমাদের দাবি সব দিক বিবেচনা করে দ্রুত ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।
এদিকে বিশ্ববাজারে গত টানা পাঁচ মাস দাম কমেছে সয়াবিন তেলের। প্রতি টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম বিশ্ববাজারে গত নভেম্বরে ছিল এক হাজার ১১৮ ডলার। সর্বশেষ গত মার্চ মাসে সে দাম কমে হয়েছে ৯১০ ডলার। অর্থাৎ গত পাঁচ মাসে বিশ্ববাজারে টন প্রতি সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ২০৮ ডলার। অথচ দেশের বাজারে ঘটছে ঠিক তার উল্টো চিত্র।
৫ শতাংশ ভ্যাট ছাড়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা বলে ভোজ্য তেল শোধনকারী মিল মালিকরা সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে লিটারে ১০ টাকা দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার থেকেই এই দাম কার্যকর করারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
গত সোমবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের চিঠিতে আবারও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। বলা হয়, লিটারপ্রতি ১০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭৩ টাকা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে ভোজ্য তেলের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে জারিকৃত এসআরওদ্বয়ের মেয়াদ ১৫ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে শেষ হচ্ছে বিধায় আগামী ১৬ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ থেকে বাজারে ভোজ্য তেল (পরিশোধিত পাম তেল ও পরিশোধিত সয়াবিন তেল) সরবরাহে ভ্যাট অব্যাহতি পূর্ববর্তী মূল্যে পণ্য সরবরাহ হবে।
এতে আরো বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত বিষয়ের আলোকে আগামী ১৬ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ থেকে ভোজ্য তেলের মূল্য নিম্নলিখিতভাবে কার্যকর হবে। বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ১৭৩ টাকা, পাঁচ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা এক লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।