সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:০৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
স্টাফ রির্পোটার/ রাজশাহীঃ
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে বোর্ড সভা না করে ৬ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়াকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান এবং সচিবের অনুসারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন বলে জানা গেছে। বোর্ড সভা না করে গত ১৫ জানুয়ারি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোকবুল হোসেন নিজ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ওই ছয় কর্মকর্তার পদোন্নতির আদেশ জারি করেন। এদিকে চেয়ারম্যানের আদেশে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৬ কর্মকর্তার পদ-পদবী ও প্রমোশন নিয়ে জটিলতা থাকায় শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন পূর্বের পদ-পদবি অনুসারে তাদের বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে চেয়ারম্যান এবং সচিবের অনুসারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। তবে ওই প্রজ্ঞাপনের কপি বিলম্বে শিক্ষাবোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানোয় পদোন্নতির ঘটনা বিলম্বে জানাজানি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। অভিযোগ রয়েছে, ৬ষ্ঠ গ্রেড সুপারসিড করে ছয় কর্মকর্তাকে ৭ম গ্রেড থেকে সরাসরি ৫ম গ্রেডে পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন চেয়ারম্যান। এরা হলেন- উপ-সচিব (ভান্ডার, চলতি দায়িত্ব, উপকরণাদি শাখা) মো. ফরিদ হাসানকে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (জেএসসি); উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (স্ক্রীপ্ট, চলতি দায়িত্ব) রুবীকে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (স্ক্রীপ্ট); উপ-সচিব (ভান্ডার, চলতি দায়িত্ব) মোহা. দুরুল হোদাকে উপ-সচিব (ভান্ডার); সহকারী সচিব (প্রশাসন) খোরশেদ আলমকে উপ-সচিব (প্রটোকল); সহকারী ক্রীড়া অফিসার মো. নুরুজ্জামানকে উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক (রেজি.) ও গণসংযোগ অফিসার সুলতানা শামীমা আক্তারকে লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন ডকুমেন্টশন অফিসার পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড পরিচালিত হয় ১৯৬১ সালের অডিনেন্স এস.আর-৬৫ ও ১৯৯৭ সালের প্র-বিধিমালা অনুসারে। সে অনুসায়ী যেসব পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো আইনে নেই। এছাড়া অফিস আদেশে সিলেকশন কমিটির ২১ এপ্রিল ২০১৭ তারিখের সভার উল্লেখ করা হয়েছে। ওই সভার সুপারিশে ৯ জনকে ৬ষ্ঠ গ্রেডে বেতন দেওয়া হচ্ছে। একই সভার সুপারিশে ৬ষ্ঠ গ্রেড সুপারসিড করে ৫ম গ্রেড কিভাবে দেওয়া যায়? প্রশ্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। বিষয়টি বিধিসম্মত নয়, পূর্বে এমন কোনো পদোন্নতি হয়নি। ডেপুটেশনের ৬টি পদ ছাড়া শিক্ষাবোর্ডে আর কোন ৫ম গ্রেডের পদ নেই। ২০১৯ সালের জনবল কাঠামো নিজেদের সৃজিত, এতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ও বোর্ড সভার কোন অনুমোদন নেই।জানতে চাইলে শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘সাম্প্রতিক ৬ জনের পদোন্নতির বিষয়ে তিনি অবগত নন। পদোন্নতির অফিস আদেশে তার স্বাক্ষর নেই। ওই পদোন্নতি নিয়ে জটিলতা এবং সচিবের কাছে নথি না থাকায় তিনি সকলকে পূর্বের পদ-পদবি অনুসারে বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কারও অন্যায় স্বার্থ হাসিলের জন্য তিনি অনিয়ম করতে পারবেন না। যতক্ষণ সচিবের দায়িত্বে থাকবেন নিয়মের মধ্যেই কাজ করবেন।
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোকবুল হোসেন বলেন, ‘কোন বোর্ড সভার আগেই চেয়ারম্যান নিজ ক্ষমতা বলে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে পারেন। তবে পরবর্তী বোর্ড সভায় সেগুলো অনুমোদন করিয়ে নিতে হয়। ফলে ওই ৬ কর্মকর্তার পদোন্নতির আদেশ অবৈধ বলার সুযোগ নেই।
এলবিএন/২৯/৭০/এস/আর-২৯-১০