সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৪৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
লন্ডনবাংলা ডেস্কঃ
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের নির্মান করা হচ্ছে চার হাজার ৩৫৮ মিটার দীর্ঘ চারটি উড়াল সড়ক। উড়াল সড়কগুলো ভৈরব, সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার, তাজপুর ও দয়ামীর বাজার এলাকায় নির্মাণের বিষয়ে মত দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ওই মহাসড়কটিকে এশিয়ায়ন হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকে সিলেট বিভাগের মন্ত্রী, এমপি, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা অংশ গ্রহনে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সূত্র জানায়, চারলেন করতে এডিবি ২০১৩-১৪ সালের দিকে প্রথম সমীক্ষা করে। এরপর মহাসড়কের কাজ কারা করবে, এ নিয়ে নানান জটিলতা তৈরি হলে এডিবি আর বেশিদূর এগোতে পারেনি। তারা আবার যখন কাজটি করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সে কারণে আগের সমীক্ষার নতুন করে মূল্যায়ন প্রয়োজন। এ জন্যে নতুন করে সমীক্ষা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে চারলেনের ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ভূমি অধিগ্রহণ ও সড়কের পাশের ইউটিলিটি স্থানান্তরের জন্য ইতোমধ্যে সরকার ৩ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরের বরাদ্দ হচ্ছে ৮৫১ কোটি টাকা। সূত্র জানায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে চারলেনে উন্নীত করতে শুরুতে এডিবির সঙ্গেই কথা হচ্ছিল সরকারের। কিন্তু মধ্যে চীনের অর্থায়নে জিটুজি ভিত্তিতে চারলেনে উন্নীত করার জন্য ২০১৭ সালের অক্টোবরে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছিল সরকার। কথা ছিল, ২০১৮ সালের শুরুতেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। কিন্তু চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পের জন্য যে ব্যয় প্রস্তাব করেছিল তা সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতরের প্রাক্কলনের চেয়ে প্রায় ৪২ শতাংশ বেশি। তাই ওদের প্রস্তাব সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেনি।
এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক দফা আলোচনা হলেও কোনো সুরাহা না হয়ে কাজ ঝুলে যায়। একপর্যায়ে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এজন্য ডিপিপিও তৈরি করা হয়। সেটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলেও সেখান থেকে আরও কিছু সংশোধনী চেয়ে ফেরত পাঠানো হয়। সড়ক বিভাগ তা সুবিন্যন্ত করে ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায়। প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনে যাওয়ার পর অনেক ব্যয়বহুল উল্লেখ করে এর জন্য বাইরের কোনো অর্থায়ন পাওয়া যায় কিনা দেখতে বলা হয়। এর পরপরই প্রকল্পটি ঝুলে যায়। অথচ কথা ছিল সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। শেষ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার। এখন প্রকল্পে অর্থায়ন করবে এডিবি। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক শুধু যোগাযোগের ক্ষেত্রে নয়, এর মাধ্যমে শিল্পায়নে পিছিয়ে পড়া সিলেটে শিল্প বিপ্লব ঘটারও সম্ভাবনা দেখছেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে মহাসড়কটি অর্থনৈতিক করিডোরের ভূমিকাও পালন করতে পারে। ওই মহাসড়টি চারলেনে উন্নতি করা হলেও সিলেটের পর্যটন খাতের ব্যাপক প্রসার ঘটবে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
এলবিএন/২৯-জ/এস/৭০-১৩