যদি কপিরাইট নিয়েই পড়ে থাকি তাহলে গান করবো কখন’

প্রকাশিত: ৪:৩৬ অপরাহ্ণ, জুন ২৩, ২০২০

যদি কপিরাইট নিয়েই পড়ে থাকি তাহলে গান করবো কখন’

বিনোদন ডেস্কঃঃ

সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। যার গান সব বয়সের শ্রোতাদের কাছে এখন চিরসবুজ। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এখনও থেমে নেই তিনি। নতুন গান করে যাচ্ছেন নিয়মিত। এরমধ্যে ঘরে বসে বেশ কয়েকটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এই ব্যস্ততা নিয়ে কথা বললেন বিনোদন প্রতিদিনের সঙ্গে। আরও জানালেন এই মহামারিতে শিল্পীদের সাংগঠনিক না হওয়া বিষয়গুলো। সাক্ষাত্কার নিয়েছেন মোস্তাফিজ মিঠু,

 

এই সময়ে তো আসলে ভালো থাকাটা কঠিন হয়ে গেছে সবকিছু নিয়ে। তবে এরমধ্যেই চলে যাচ্ছে।দীর্ঘদিন ধরে স্টেজ শো বন্ধ এবং কবে নাগাদ ইভেন্ট হবে তার কোনো সঠিক সময় জানা নেই। এরইমধ্যে শিল্পী ও মিউজিশিয়ানদের অবস্থাটা আপনি কীভাবে দেখছেন?

 

আসলে আমাদের পেশার একটি সমস্যা কী, সবার আগে কিছু হলে গান-বাজনা বন্ধ করেন। আবার সবকিছু ঠিক হলে গান-বাজনা সবার পড়ে শুরু হয়। আমাদের একজন শিল্পী নিয়ে মানুষের মাঝে অনেক কৌতুহল। কিন্তু এই মানুষটার যে পরিবার আছে, তারও চলতে অর্থ প্রয়োজন হয় সেদিকে আমরা নজর কম দিই। এদেশে একজন শিল্পীর সিকিউর লাইফ নেই। অথচ একজন শিল্পী লিভিং কস্ট সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি। সেগুলো নিয়ে আমরা ভাবি না।

 

এখন এত বড় এক সমস্যা চলছে এই অবস্থায় যারা নিয়মিত স্টেজ শো করে তাদের অবস্থা তো খারাপ থাকারই কথা। এরমধ্যে একটা সংগঠন থাকলে সেখান থেকে কিছু করা যেত। এখন একা তো আমার সবকিছু করা যায় না।কিন্তু সংগীতাঙ্গনে কয়েকটি সংগঠন রয়েছে। সেগুলো সক্রিয়তা দেখা যায়নি। এটি কেন?

 

আসলে আমাদের সাংগঠনিক হওয়ার অভাব। একটি নাটক বা সিনেমা একজন দিয়ে হয় না। অনেক আর্টিস্ট প্রয়োজন। এতে করে তাদের মধ্যে একটা বন্ডিং থাকে ভালো। একটা পরিবারের মতো হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবে যারা একসঙ্গে কাজ করলে একটা সাংগঠনিক অবস্থা থাকে। কিন্তু আমাদের তা না। আমরা ওয়ান ম্যান শো। একজন্য শিল্পী একাই স্টেজে দু-তিন ঘণ্টা পার করে দিতে পারে। একাই সবকিছু পারায় আমাদের সাংগঠনিক হওয়া হয়নি।

 

কিন্তু আপনারা ব্যক্তিগতভাবে কিছু করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন কি-না?সেটির চেষ্টাও আমি অনেকবার করেছি। অনেকেই এটি জানেন। কিন্তু একা আর কী করা যায়। সাংগঠনিক হওয়াটা খুব জরুরি। আমরা তো একটা সময় পার করে ফেলেছি। নতুন যারা আসছে তাদের বলবো এই জায়গাটাকে একটা পরিবার ভাবতে। কিছু করতে হলে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হয়।

 

ইউটিউবে পুরনো অনেক গান বিভিন্ন চ্যানেলে পোস্ট করা। কিন্তু কপিরাইটের কারণে মূল শিল্পীরা কোনো সুবিধা পাচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে জানতে চাই—এমন গান আমার প্রচুর রয়েছে। যেগুলো আমার অনুমতি ছাড়া পোস্ট করা। একবার তো আমার গান আমাকেই ক্লেইম দেয়। এখন এই বিষয়গুলো একটা সিস্টেমে থাকা উচিত। এখন অনেকে বলেন কপিরাইট করে রাখেন। আমার কথা হচ্ছে যদি কপিরাইট নিয়েই পড়ে থাকি তাহলে গান করবো কখন।

আপনার নতুন কাজ নিয়ে জানতে চাই?আমার আসলে অনেকগুলো কাজ জমে গেছে। যেহেতু লকডাউন তাই একসঙ্গে কাজ করা হচ্ছে না। অনলাইনে কাজ চলছে। আমাকে টিউন পাঠানো হচ্ছে, আমি সেটি গেয়ে পাঠাচ্ছি। এভাবে বেশকিছু কাজ চলছে। কিন্তু সত্যি কথা কী এভাবে কাজ করে মন ভরছে না। কাজে হয়তো প্রাণ থাকবে না। এই অবস্থাটা আমরা কবে পার করবো জানি না। অপেক্ষায় আছি আগের মতো করেই কাজে ফেরার। এছাড়া ডুয়েট কয়েকটি গান করেছি। আমার সলো গানের কাজ নিয়েও ব্যস্ত আছি।

Spread the love