সিলেট ১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:২৬ অপরাহ্ণ, জুন ২৩, ২০২০
প্রতিনিধি/ওসমানীনগরঃঃ
সিলেটের ওসমানীনগরে থানার ওসি রাশেদ মোবারক কর্তৃক আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের সভাপতিসহ বিএনপির সাবেক আহবায়কে রশি দিয়ে বেঁধে থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকির ঘটনায় উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
ওসমানীনগর থানার ওসির এমন কর্মকান্ডের নিন্দা প্রস্তাবটি আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় গৃহিত করার আহব্বান জানিয়েছেন কমিটির একাধিক সদস্যরা।
জানা যায়, মঙ্গলবার উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনিুষ্ঠিত হয়। সভায় একাধিক জনপ্রতিনিধিসহ সদস্যরা জানান,সম্প্রতি থানার ওসি রাশেদ মোবারক উপজেলা আওয়ামীলীগ-যুবলীগের শীর্ষ নেতা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ককে ফোন করে রশি দিয়ে বেঁেধ আনার হুমকী প্রদান করেন।
বিষয়টি জানাজানির পর উপজেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনাসহ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা সচেতণমহল সহ রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা ওসির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন সহ পত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতির বিষয়ে নিন্দা প্রস্তাব গৃহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সভার সভাপতি ইউএনও মোছা: তাহমিনা আক্তারের কাছে আহব্বান জানান,কমিটির সদস্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দাল মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু। সভায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির অপর সদস্য উমরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া তার বক্তব্যে বলেন, থানার ওসি কর্তৃক আমার ইউনিয়নের একাধিক সম্মানিত মুরব্বিয়ানদের রশি দিয়ে বেঁধে আনার যে হুমকি দেয়া হয়েছে তা অত্যান্ত দুঃখ জনক।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের সভায়ও নিন্দা প্রস্তাব গৃহিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও নিন্দা প্রস্তাবটি গৃহিত করার আহব্বান জানান তিনি। তবে নিন্দা প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: তাহমিনা আক্তারের ব্যবহৃত অফিসিয়াল মোবাইল নাম্বারে মঙ্গলবার বিকালে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
প্রসংঙ্গত,গত বৃহস্পতিবার বিকেলেও উমরপুর ইউপি আ.লীগের সভাপতি শহিদ পরিবারের সদস্য দবির মিয়া, উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল আহমদ এবং উমরপুর ইউনিয়নের সালিশি ব্যাক্তিত্ব সাবেক ইউপি সদস্য তখলিছ আলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক উমরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান চেরাগ আলীকে থানায় থাকা অফিসিয়াল মুঠোফোন ওসি রাশেদ মোবারক বলেন আমরা জানতে পেরেছি আপনার এলাকায় একটি সংঘাত হবে আর যদি তা হয় তাহলে আপনাকে প্রধান আসামি করে রশি দিয়ে বেঁধে টেনে হিচড়ে থানায় নিয়ে আসব’। বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর ওসির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেন আওয়ামীলীগ অঙ্গ সংগঠনসহ উপজেলার সচেতণ মহল।
পরবর্তীতে এ বিষয়ে গত শনিবার বিকালে ভূক্তভোগীরাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতৃবৃন্দরা ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়ে উধ্ধতর্ন কর্তৃপক্ষের বরাবরে প্রতিবেদন পাঠাবেন বলে নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্থ করলেও এখনও এ ব্যাপারে কার্যত কোন ব্যবস্থা গ্রহন হয়নি বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।