সিলেট ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
ঢাকা অফিসঃঃ
রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে ভোটের উৎসব। ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার শেষ। এখন শুধু ভোটের অপেক্ষা। এক বছর পর সিটি নির্বাচনের মাধ্যমেই আবারও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীরা মুখোমুখি হচ্ছেন এই নির্বাচনে । নির্বাচনী প্রচার প্রচারণাও ছিল উৎসবমুখর পরিবেশে। আর উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারের কারণে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন নিয়ে উৎসাহের কমতি নেই রাজধানীসহ দেশের মানুষের মধ্যে। ৫৪ লাখ ভোটারের পাশাপাশি ১৬ কোটি মানুষেরও আগ্রহের বিষয় এখন এই সিটি নির্বাচন।
কে জিতবেন, কে হারবেন সেটা নিয়ে প্রার্থীদের পাশাপাশি পুরো দেশবাসীও এখন হিসাব কষতে শুরু করেছেন সিটি নির্বাচন নিয়ে । মূলত এটি স্থানীয় নির্বাচন হলেও ঢাকার দুই সিটিতে জাতীয় নির্বাচনেরই আবহ বইছে চারদিকে। এদিকে নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কঠোর ভাবে মাঠে নেমেছে।
ঢাকার সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা প্রচারে অংশ নেয়ায় শুরু থেকেই পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর। জয়ের আশা নিয়ে প্রার্থীরা মাঠ চষে বেড়িয়েছেন নির্বাচনী মাঠ। ভোট ও সমর্থন চেয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়িয়েছেন প্রার্থীসহ সমর্থকরাও । মেয়র পদে দুই সিটিতে ১৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে মেয়র পদে এবার কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। গত ১০ জানুয়ারি থেকে নির্বাচনী প্রচারে মাঠে ছিলেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তবে এই দীর্ঘ সময়ে নির্বাচনী প্রচারে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সব দলের মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীর পোস্টারে ছেয়ে গেছে গোটা ঢাকা সিটি। গত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক ঢাকা শহরে খুঁজে পাওয়া না গেলেও এবারের সিটি নির্বাচনে বিএনপির দুই প্রার্থীও প্রচারে সরব ছিলেন। ঢাকার অলি-গলিতে তাদের ধানের শীষ প্রতীকে ছেয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্য যে কোন নির্বাচনের চেয়ে ঢাকা সিটি নির্বাচনের প্রচার ছিল উৎসবমুখর। রাতদিন প্রার্থীরা ভোট প্রার্থনায় মাঠ চষে বেড়িয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম ও বিএনপির তাবিথ আউয়াল; দক্ষিণে আওয়ামী লীগের ফজলে নূর তাপস এবং বিএনপির ইশরাক হোসেন নির্বাচনী প্রচারে যেখানেই গিয়েছেন হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক তাদের সঙ্গে হাজির ছিলেন। নেতাকর্মী পরিবেষ্টিত অবস্থায় উৎসবমুখর পরিবেশে তারা ভোট চেয়েছেন। তবে এরই মাঝে ঢাকার গাবতলীতে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের নির্বাচনী প্রচারে ধাওয়া, পাল্টাধাওয়া এবং পুরান ঢাকার গোপীবাগ এলাকায় ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারে হামলা, পাল্টাহামলার বিষয় বাদ দিলে আর কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
নির্বাচনী প্রচারের পরিবেশ ছিল বেশ শান্ত । এছাড়া সব প্রার্থীর পক্ষেই সাউন্ড রেকর্ডার ব্যবহার করে সঙ্গীতের মাধ্যমে ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় ভোট প্রার্থনা করা হয়। পাড়া-মহল্লায় সর্বত্র মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার চালিয়েছেন প্রার্থীরা। এছাড়া নেতাকর্মীদের উৎসবমুখর পরিবেশে গত ২০দিন ধরে ঢাকা নগরী পরিণত হয়েছিল একটি মিছিলের নগরীতে। কারও নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেয়ার ঘটনা পর্যন্ত ঘটেনি। ফলে এবারের নির্বাচনী প্রচারের পরিবেশ নিয়ে কমিশন প্রথম থেকে সন্তুষ্ট ছিল। গত ২২ জানুয়ারি আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা এই পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | ||||
4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9 | 10 |
11 | 12 | 13 | 14 | 15 | 16 | 17 |
18 | 19 | 20 | 21 | 22 | 23 | 24 |
25 | 26 | 27 | 28 | 29 | 30 | 31 |