সিলেট ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৩৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২০
স্টাফ রিপোর্টারঃঃ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা-২০১৮ এর ২৪ শে ডিসেম্বর প্রকাশিত চুড়ান্ত ফলাফলে ৬০% মহিলা কোটায় পূরন করে রীটকারী মহিলা প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ না দেওয়া কেন অবৈধ হবেনা ও ৬০% মহিলা কোটায় পূরন করে রীটকারী মহিলা প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবেনা তা জানতে ৪ সাপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট একই সাথে রীটকারীদের জন্য ৫৮টি সহকারী শিক্ষকের পদ সংরক্ষনের নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রয়ারী, ২০২০) ০৯ জেলার ৫৮ জন প্রার্থীর দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে মাননীয় বিচারপতি এ.এফ.এম নাজমুল হাসান ও মাননীয় বিচারপতি কে.এম কামরুল কাদের গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রীটে প্রাথমিক ও গন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহ ০৪ জন কে বিবাদী করা হয়েছে।
রীটকারীদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া অপর দিকে রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
রীটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন সরকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ এর ৭ বিধিতে বলা হয়েছে সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদ গুলির ৬০ শতাংশ মহিলা প্রার্থীদের দ্বারা পুরন করতে হবে কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফলে ৬১ জেলায় ১৮,১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয় উক্ত ফলাফলে মহিলা প্রার্থীদের তুলনায় পুরুষ প্রার্থীদের বেশি নির্বাচিত করা হয় যাহা উক্ত বিধি লঙ্গন করে পূর্নাঙ্গ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। যাহার পরিপ্রেক্ষিতে ০৯ জেলার ৫৮ জন প্রার্থী ৬০% মহিলা কোটায় নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে উক্ত রীট পিটিশন দায়ের করেন।
রীট কারীগন হলেন সাবিনা ইয়াসমিন, মোসাঃ খালেদা বেগম, মেহেরুন নেসা সাথি, লুবনা আক্তার, শ্যামলী আকতার, তমা পারভীন, আফরিন আকতার, রুপালী পারভীন, রিয়া সরকার, আফসানা বিনতে আহসান, মেহেরুন নেসা হক, রিমা আক্তার সহ সর্ব ০৯ জেলার মোট ৫৮ জন।