বুলবুল আহমদ, নবীগঞ্জঃঃ
রাতের আধারে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের কইখাই গ্রামে রাতের আধারে মালিকানাধীন জায়গার উপর হামলা করে ঘর-বাড়ীতে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে গ্রামের দু’পক্ষের লোকদের মধ্য টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনা স্থল পরদর্শন করেছে।
জানাযায়, উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের কইখাই গ্রামের আকবর আলী বিগত প্রায় ৩০ বছর পূর্বে কইখাই গ্রামের নিকটে ইলিমপুর মৌজার জেএল নং২০, দাগ নং ৬২/৫৮২ বিভিন্ন মালিকের কাছ থেকে ১একর ১৬শতক জায়গা ক্রয় করেন। পরে তিনি একই গ্রামের জুয়েল মিয়া ও তার ৪ ভাই’র কাছে ৩১ শতক, সাজনা বেগমের কাছে ২৮শতক, খরছু মিয়ার কাছে ১৫শতক ও রইছ মিয়ার কাছে ৩শতক জায়গা বিক্রি করেন।
বর্তমানে আকবর আলী ৩৯শতক জায়গার মালিক রয়েছেন। কাটা তারের বেড়ার সীমানার প্রাচীর বেষ্টনীকৃত উক্ত জায়গায় আকবর আলী ও খরছু মিয়া একটি করে দুটি ঘর তৈরি করেন। নুর মোহাম্মদ নামে এক জনৈক ব্যক্তি আকবর আলীর ঘরে থাকতেন এবং খরছু মিয়ার ঘরও দেখাশুনা করেন। কইখাই গ্রামের বাচ্চু মিয়া ও রইছ মিয়ার জানান, বিগত এক বছর ধরে গ্রামের তোফাজ্জল মিয়া, আব্দুল করিম, ফিরুজ মিয়া, সোনা মিয়া, ছালিক মিয়া, দুলুর গংরা উক্ত জায়গা দখলে নেয়ার পায়তারা করে আসতেছেন।
এরই জের ধরে প্রভাবশালীরা ৫০/৬০ জন লোক একজোট হয়ে দেশীয় অস্রে শস্রে সজ্জিত হয়ে গত শনিবার দিবাগত রাত অনুমান ২টার সময় ওই জায়গার উপরের ঘর-বাড়ীতে হামলা চালিয়ে সব কিছু ভাংচুর ও লুটপাট করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ভয়ে ঘরে থাকা নুর মোহাম্মদ পরিবার নিয়ে পালিয়ে যান। হামলাকারীরা দুটি ঘরের আসবাবপত্র, বৈদ্যুতিক একটি মিটার ভাংচুর করে বেস্টনী দেয়া কাটাতার সহ সব কিছু পিকআপ ভ্যানে ভরে করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কইখাই গ্রামের সায়েস্তা মিয়া জানান, এই জায়গা মালিকানাধীন। তোফাজ্জলগংদের সাথে বিরোধিতার কারনে ওই জায়গায় মাননীয় আদালত কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি থাকার পরও হামলার ঘটনাটি খুবই দু:খজনক।অপরপক্ষ, তোফাজ্জল মিয়ার সাথে মোবাইল বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এব্যাপারে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহলের লোকজন৷ এ ব্যাপারে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শামসুদ্দিন খাঁন এর যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনার খবর পয়ে সকালে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। এখনো মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।