সিলেট ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৩৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
নব্বই দশকের জনপ্রিয়তম চিত্রনায়ক সালমান শাহ’র মৃত্যুর ঘটনায় তাকে হত্যা করার কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সে ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেই অভিহিত করেছে সংস্থাটি। একইসঙ্গে সালমান শাহ’র মৃত্যুর পর তার বাসা থেকে উদ্ধার করা সেই ‘সুইসাইড নোট’ও প্রকাশ করেছে তারা।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সালমান শাহ মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবেদন তুলে ধরেন সংস্থাটির প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার। সালমান শাহ’র মৃত্যুকে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আত্মহত্যা বলে অভিহিত করেন তিনি। বনজ কুমার বলেন, পাঁচ কারণে সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছিলেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় সালমান শাহ’র বাসায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। ওই সময় ওই বাসা থেকে পুলিশ একটি ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার করে। ওই নোটটিই ফের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করেন পিবিআই প্রধান।
তিনি বলেন, সালমানের মৃত্যুর পর তার বাসা থেকে একটি সুইসাইডাল নোট উদ্ধার করা হয়। আমরা সেটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। হ্যান্ড রাইটিং এক্সপার্ট বা হস্তলিপি বিশারদকে দিয়ে আমরা সুইসাইড নোটটি দেখিয়েছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি হাতের লেখা দেখে তা সালমান শাহ’র লেখা বলেই শনাক্ত করেছেন।
ওই নোটে লেখা আছে, ‘আমি চৌ. মো. শাহরিয়ার। পিতা কমর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। ১৪৬/৫, গ্রিনরোড, ঢাকা#১২১৫ ওরফে সালমান শাহ এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, আজ অথবা আজকের পরে যেকোনো দিন আমার মৃত্যু হলে তার জন্য কেউ দায়ী থাকবে না। স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে আমি আত্মহত্যা করছি।
পিবিআইয়ের মতো এর আগেও সালমান শাহ’র মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোও জানিয়েছিল, এই নোটটি সালমান শাহ’রই লেখা বলে তাদের জানিয়েছে হস্তলিপি বিশারদরা। যদিও সালমানের পরিবার থেকে এই নোট নিয়ে বরাবরই সন্দেহ জানানো হয়েছে।
সালমানের মা নীলা চৌধুরীর বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের বলেছেন, ও ইস্কাটনের বাসায় থাকত, কিন্তু ঠিকানা দিয়েছে গ্রিনরোডে আমাদের বাসার। আমরা ওকে ইমন বলে ডাকলেও চিঠিতে তা উল্লেখ নেই। তাছাড়া কেউ আত্মহত্যা করার আগে এভাবে গুছিয়ে নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে মামলার মতো করে চিঠি লেখে কি না, তা আমার জানা নেই। এই চিঠি নিয়ে ঘোরতর সন্দেহ রয়েছে।