সিলেট ২৯শে জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৫৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
সালাহ্উদ্দিন শুভ,কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার)
নরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগের কারনে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মিলকারখানাগুলোসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অচালাবস্থা বিরাজ করছে। লাইন মেরামতের অজুহাত দেখিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অন্ধকারে রাখা হচ্ছে গ্রাহকদের। মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমলগঞ্জ জোনাল অফিস সংশ্লিষ্ট গ্রাহকরা বার বার অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না এমন অভিযোগ গ্রাহকদের। অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি এলাকায় ঘন ঘন বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকার বিষয়ে কমলগঞ্জ জোনাল অফিসে ফোন দিলেও কর্মরত কর্মকর্তারা গ্রাহকদের ফোন রিসিভ করছেন না। লাইনে ত্রুটি দেখিয়ে একাধিকবার দুই থেকে আট ঘন্টা সংযোগ বন্ধ রাখার কারনে উপজেলার , বিভিন্ন মিল কারখানাসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেঅেচালাবস্থা বিরাজ করছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন অর্ধলক্ষাধিক গ্রাহক।
জানা যায়, মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমলগঞ্জ জোনাল অফিস অধীনস্থ প্রায় ৯২ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। কমলগঞ্জ উপজেলা ছাড়াও কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলার একাংশ সম্পৃক্ত রয়েছে। পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়াই বুধবার সকাল পৌনে আটটা থেকে বিকাল পৌনে চারটা পর্যন্ত জোনাল অফিসের অধীনস্থ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে হাজার হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক ছাড়াও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চা বাগান কারখানা, বিভিন্ন ওয়ার্কসপ, হাটবাজারে মিল-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিসিয়েল নানা কাজে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এক নাগাড়ে গত দু’দিনে প্রায় ১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চা কারখানা সমুহ।তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, ভানুগাছ বাজার ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক, শমসেরনগর বাজারের ব্যবসায়ী প্রেমানন্দ দেবনাথ, আব্দুল মোত্তাকিন, বদরুল ইসলাম, রফিক মিয়া, কবি শহীদ সাগ্নিক, কলেজ শিক্ষার্থী ফাহমিদা সুলতানা, সোয়েব আহমদ বলেন, পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়াই টানা আট ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মোটেও টিক হয়নি।
আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে বর্তমানে বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার খেলা শুরু হয়েছে। তারা আরও বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই ঘন্টারও বেশি সময় বিদ্যুৎ ছিল না। গতকাল বুধবারও টানা আট ঘন্টা বিদ্যুৎ নেই। এসময়ে অফিসে কারন জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে কেউ ফোন রিসিভ করেন না। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য, কলকারখানা ও পড়াশুনায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে বলে তারা অভিযোগ করেন।অভিযোগ বিষয়ে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম গণেশ চন্দ্র দাশ বলেন, ঠিকাদাররা বিদ্যুৎ লাইনে কাজের জন্যে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে শ্রীমঙ্গল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ হওয়ার কথা থাকায় পূর্ব থেকে কোন নোটিশ দেয়া হয়নি। তবে তাৎক্ষণিক সমস্যা হওয়ায় শ্রীমঙ্গল থেকে সরবরাহ সম্ভব হয়নি। ফলে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে ।