সিলেট ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:১৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরও ৭৫ জন সহকারী শিক্ষকের জন্য প্রধান শিক্ষকের পদ ছয় মাস সংরক্ষিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই সহকারী শিক্ষকদের সম্মিলিত জ্যেষ্ঠতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
বিধিমালার ৯(১) ধারা কেন অবৈধ হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রবিবার (০১ মার্চ) একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম রাহুল ও আইনজীবী মোঃ সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ‘অধিগ্রহণকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকরির শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ২(গ) অনুসারে সদ্য জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আত্তীকরণের পূর্বের চাকরিকাল ৫০% গণনা করার বিধান থাকলেও সম্বলিত জ্যেষ্ঠতার তালিকা তৈরির সময় ওই বিধি না মেনে জ্যেষ্ঠতার তালিকা করা হয়েছে। বিধিমালার ৯(১) এবং ওই তারিখের পূর্বে নিয়োগ বিধির অধীন শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত সর্বশেষ ব্যক্তির নিচে সহকারী শিক্ষকের অবস্থান নির্ধারিত হইবে বলে উল্লেখ রয়েছে, যা সংবিধানের সাথে সাংর্ঘষিক।
তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের ফলে ৭৫ জনের জন্য প্রধান শিক্ষকের পদ সংরক্ষিত রাখতে হবে। ’
রীটকারীগণ হলেন কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়াচর উপজেলার আল আমিন আহমেদ, মোঃ শামসুল ইসলাম, মোঃ জিল্লুর রহমান, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ মনিরুজ্জামান, মোঃ আবুল হাসেম, নাসিমা খাতুন, রোকেয়া বেগম, মোঃ লিয়াকত আলি, মোঃ কামাল উদ্দিন, মোঃ মইনউদ্দিন, নিকলি উপজেলার প্রদীপ চন্দ্র ঘোষ, মোঃ সফিকুল ইসলাম, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, কামরুল হাসান সহ সর্বমোট ৭৫ জন সহকারি শিক্ষক ।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার ৫২ জন এবং নড়াইল সদরের ১০৩ সহকারী শিক্ষকের ও গত ১২ নভেম্বর নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার ১৬৭ জন সহকারী শিক্ষকের পৃথক রিট আবেদনেও একই আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।