সিলেট ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:১৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২০
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ
সম্প্রতি দেশে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা এক প্রবাসী। তিনি আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেও গেছেন। কিন্তু এরইমধ্যে সেই প্রবাসীর সংস্পর্শে আসা দেশের একজন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।করোনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ মঙ্গলবার জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর সম্মেলন কক্ষে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।বিদেশে থেকে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরেই করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে ব্যবহার হয় থার্মাল স্ক্যানার মেশিন। যুক্তরাষ্ট্রের সেই প্রবাসী কীভাবে বিমানবন্দরের স্ক্যানার এড়িয়ে গেলেন তা নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে। সেইসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার প্রক্রিয়া নিয়েও।
ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর পরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে আইসোলেশনে রয়েছেন মোট ১৬ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে আছেন ৪৩ জন। দেশে সর্বমোট কভিড-১৯ এর সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে ১০ জনের মধ্যে।সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘গতকাল আমরা বলেছিলাম, দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন আটজন। আজ আরও দুজনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে।’তিনি আরও বলেন, ‘এই দুজনের মধ্যে একজন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনের ছিলেন, এমন একজনের মধ্যে আমরা পেয়েছি।
আরেকজন একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন, তিনি একজন বিদেশ থেকে এসেছিলেন এমন মানুষের সংস্পর্শে ছিলেন। তার মধ্যে আমরা সংক্রমণ পেয়েছি।’ব্রিফিংয়ে বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেনটাইন পালন করার আহ্বান জানান ফ্লোরা। এ সময় কভিড-১৯ প্রতিরোধে সবার সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।এর আগে গতকাল সোমবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন তিনজনের কথা জানায় আইইডিসিআর। এদিন আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুটি শিশু ছিল।
তার আগে গত ১৪ মার্চ আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশে আরও দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই দুজনের মধ্যে একজন ইতালি থেকে এবং অন্যজন জার্মানি থেকে সম্প্রতি দেশে আসেন। সোমবারের আক্রান্তরা ইতালি প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তান।গতকাল ব্রিফিংয়ে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘এ পর্যন্ত দেশে আটজনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।